মঙ্গলবার (২৬ মে) সকাল সাড়ে দশটার দিকে প্রথমে চট্টগ্রাম রেলওয়ে হাসপাতাল এবং পরে সিটি হল কনভেনশন সেন্টার পরিদর্শন করেন তারা।
পরিদর্শন শেষে সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, সংক্রমণ যেহেতু পর্যায়ক্রমে বৃদ্ধি পাচ্ছে সেহেতু বিষয়টি বিবেচনা করে আমরা রেলওয়ে হাসপাতাল পরিদর্শন করেছি।
তিনি আরও বলেন, আগ্রাবাদ এক্সেস রোডে সিটি হল কনভেনশন সেন্টার নামে আরও একটি স্থানকে আইসোলেশন সেন্টার হিসেবে প্রস্তুত করার কথা চলছে। সিকম ও প্রিমিয়ার সিমেন্টের এমডি আমিরুল হক স্বপ্রণোদিত হয়ে তাদের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান এই হলটিকে আইসোলেশন সেন্টার করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। সেখানে ৩শ থেকে ৪শ শয্যা বসানো সম্ভব হবে। প্রাথমিকভাবে বিভাগীয় কমিশনার, সিভিল সার্জন, বিএমএ নেতারা এ বিষয়ে একমত হয়েছেন। বিভাগীয় কমিশনার সেনাবাহিনীর সঙ্গে কথা বলবেন- দ্রুত সময়ের মধ্যে এটি প্রস্তুত করা যায় কিনা।
মেয়র বলেন, চট্টগ্রামের গুরুত্ব বিবেচনা করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এখানে যা প্রয়োজন তা করার নির্দেশনা দিয়েছেন। এই লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি। অকারণে ঘর থেকে বের না হওয়া, সামাজিক দূরত্ব মেনে চলা এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললে সংক্রমণ অনেকটা সহনীয় পর্যায়ে রাখা সম্ভব হবে।
পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার এবিএম আজাদ, সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি, বিএমএ চট্টগ্রামের সভাপতি ডা. মুজিবুল হক খান প্রমুখ।
সিকম ও প্রিমিয়ার সিমেন্টের এমডি আমিরুল হক বাংলানিউজকে বলেন, করোনা মোকাবিলায় আমরাও পাশে থাকতে চাই। দেশের প্রতি দায়িত্ববোধের জায়গা থেকে আমাদের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান ‘সিটি হল কনভেনশন সেন্টার’টি করোনা রোগীর চিকিৎসায় ব্যবহারে প্রশাসন, মেয়র ও সিভিল সার্জনের সঙ্গে কথা হয়েছে। তারা হল পরিদর্শন করেছেন। এটিকে প্রয়োজনীয় উপযোগী করে তুলতে আমরা সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে প্রস্তুত আছি।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪০ ঘণ্টা, মে ২৬, ২০২০
এমএম/এসি/টিসি