সোমবার (২৫ মে) ঈদের দিন বিকেলে ঘুরে নগরের ফয়’স লেক, চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা, স্বাধীনতা পার্ক, পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত এবং জেলার পারকি সমুদ্র সৈকত, গুলিয়াখালী সমুদ্র সৈকতসহ সব বিনোদনকেন্দ্র বন্ধ পাওয়া গেছে।
গত ১৬ মে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের মধ্যে সরকারি নির্দেশনা না মেনে ঘরের বাইরে এসে ঈদে বিনোদনকেন্দ্রগুলোতে ভিড় করলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে জেল-জরিমানাসহ আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানায় চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন।
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ড. বদিউল আলম বাংলানিউজকে জানান, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী চট্টগ্রামে সব ধরণের জনসমাগম নিষিদ্ধ রয়েছে।
তিনি বলেন, ঈদের ছুটিতে পরিবার পরিজন নিয়ে বাইরে ঘুরতে যাওয়ার একটা প্রবণতা সবার মধ্যে থাকে। সবাই বিনোদনকেন্দ্রগুলোতে ভিড় করেন। কিন্তু করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় ঘরে থাকার কোনো বিকল্প নেই। তাই এ বছর বিনোদনকেন্দ্রে ভিড় না করে সবাইকে ঘরে থাকতে হবে।
‘ফয়’স লেকসহ বেসরকারি মালিকানাধীন বিনোদন কেন্দ্রগুলো বন্ধ রাখতে আমাদের নির্দেশনা রয়েছে। সরকারি মালিকানাধীন বিনোদনকেন্দ্রগুলোও বন্ধ রয়েছে। সৈকতসহ খোলা জায়গার বিনোদনকেন্দ্রগুলোতে যাতে মানুষ যেতে না পারে সে জন্য ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হচ্ছে। ’
সরকারি নির্দেশনা না মেনে কেউ বিনোদনকেন্দ্র চালু করলে, কেউ বিনোদনকেন্দ্রে ভিড় করলে সংশ্লিষ্ট সবার বিরুদ্ধে জেল-জরিমানাসহ কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের এই কর্মকর্তা।
এর আগে গত ১৯ মার্চ করোনা পরিস্থিতিতে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি গণবিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। জেলা প্রশাসক মো. ইলিয়াস হোসেনের সই করা ওই গণবিজ্ঞপ্তিতে চট্টগ্রাম জেলার সব পিকনিক স্পট, বিনোদন পার্ক পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৫ ঘণ্টা, মে ২৬, ২০২০
এমআর/টিসি