সোমবার (১৮ মে) বিকেল ৪টা থেকে বন্দর কর্তৃপক্ষ জেটি থেকে জাহাজগুলো বহির্নোঙরে পাঠানোর কাজ শুরু করে।
বন্দরের উপ সংরক্ষক ক্যাপ্টেন ফরিদুল আলম বাংলানিউজকে জানান, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের 'সাইক্লোন ডিজেস্টার প্রিপার্ডনেস অ্যান্ড পোস্ট সাইক্লোন রিহ্যাবিলেশন প্ল্যান ১৯৯২' অনুযায়ী ৬ নম্বর সংকেত অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
মঙ্গলবার (২০ মে) সকাল ১০টার মধ্যে আশাকরি জেটির সব জাহাজ বহির্নোঙরে পাঠানো সম্ভব হবে। যে জেটির জাহাজ বের হচ্ছে সেই জেটিতে এক ঘণ্টা আগে হ্যান্ডলিং কাজ বন্ধ হচ্ছে।
তিনি জানান, সব জাহাজকে ইঞ্জিন চালু রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বন্দর চ্যানেলের সব ছোট ছোট নৌযানকে শাহ আমানত সেতুর উজানে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। বন্দরের সব নৌযানকে জরুরি মুভমেন্টের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
ভিএইচএফ সিস্টেমে বন্দরের সব জাহাজকে প্রয়োজনীয় বার্তা ও দিকনির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে বলে জানান বন্দরের এ কর্মকর্তা।
সূত্র জানায়, ঘূর্ণিঝড় আম্পানের কারণে সাগর ক্রমে উত্তাল হয়ে ওঠায় চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে বড় জাহাজ থেকে ছোট জাহাজে (লাইটার) পণ্য খালাস সোমবার (১৮ মে) সকাল থেকে সীমিত হয়ে পড়ে।
কুতুবদিয়া, সেন্টমার্টিন, কক্সবাজারসহ গভীর সাগরে বন্দরের বহির্নোঙরে জাহাজ রয়েছে ৯৯টি। জেটিতে ১১টি কনটেইনার জাহাজসহ মোট জাহাজ ছিলো ১৭টি।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৬ ঘণ্টা, মে ১৮, ২০২০
এআর/এমআর/টিসি