ঢাকা, শনিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

দরিদ্র শিক্ষার্থীর ত্রাণকর্তা তিনি

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৩৬ ঘণ্টা, মে ৮, ২০২০
দরিদ্র শিক্ষার্থীর ত্রাণকর্তা তিনি

চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী উজন চাকমা (ছদ্মনাম)। দরিদ্র পরিবারের এই শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নম্বর গেটে ভাড়া বাসায় থাকেন। করোনার কারণে টিউশনি গত দুই মাস বন্ধ। বাসা ভাড়া ও নিজের খরচ নিয়ে যখন চিন্তিত তিনি, ঠিক সেই মুহূর্তে তার পাশে দাঁড়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর ও কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক রেজাউল করিম।

শুধু উজন চাকমা নন, বিশ্ববিদ্যালয়ের দরিদ্র পরিবারের এরকম শতাধিক শিক্ষার্থীকে খুঁজে বের করে আর্থিকভাবে সহায়তা করেছেন অধ্যাপক রেজাউল করিম। এ সহায়তা এখনও অব্যাহত রেখেছেন তিনি।

গত ১৫ এপ্রিল থেকে এই মানবিক কার্যক্রম শুরু করেন দরিদ্র শিক্ষার্থীর ত্রাণকর্তা রেজাউল করিম। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ‘এসো মানুষের জন্য কিছু করি’ গ্রুপের মাধ্যমে সহায়তা করছেন তিনি।

যেকোনো শিক্ষার্থী ফেসবুকে ম্যাসেঞ্জারে ইনবক্স করলেই পরিচয় গোপন রেখে সরাসরি গিয়ে সাহায্য করা হচ্ছে।

এ গ্রুপের পক্ষ থেকে গত ৩০ এপ্রিল চবিতে দৈনিক মজুরি ভিত্তিতে নিয়োজিত কর্মচারীদের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ এবং চবির বিভিন্ন বিভাগের অস্বচ্ছল ২০ জন শিক্ষার্থীকে নগদ অর্থ প্রদান করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার।

এর আগে ২৯ এপ্রিল করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় চট্টগ্রামে প্রতিষ্ঠিত দেশের প্রথম অস্থায়ী ৬০ শয্যার ফিল্ড হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা ডা. বিদ্যুৎ বড়ুয়ার কাছে অনুদানের চেক হস্তান্তর করা হয়। এছাড়া নগরের মুরাদপুর এলাকার নিম্নবিত্ত প্রায় শতাধিক পরিবারের মাঝে খাদ্যসামগ্রী দেন সহযোগী অধ্যাপক রেজাউল করিম। ২ মে চবিতে অধ্যয়নরত দরিদ্র শিক্ষার্থীদের ঘরে ইফতার সামগ্রী পৌঁছে দেন তিনি।

এই উদ্যোগে রেজাউল করিমের সঙ্গে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন ব্যবসায়ী শাহজাহান চৌধুরী, বঙ্গবন্ধু কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রশিদুল হাসান, কানাডা প্রবাসী আয়েশা আহমেদ, নিউইয়র্ক প্রবাসী রুহুল মতিনসহ আরও অনেকে।

অধ্যাপক রেজাউল করিম বাংলানিউজকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষার্থী দরিদ্র পরিবার থেকে আসা। করোনা ভাইরাসের কারণে অনেকের টিউশনি নেই। বাসা ভাড়া ও নিজের খরচ যোগাতে হিমশিম খাচ্ছে তারা। এরকম শিক্ষার্থীদের তালিকা করে তাদের গোপনে সহায়তা করছি।

তিনি বলেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় দিয়ে যাত্রা শুরু হলেও এখানে প্রয়োজন শেষ হলে পর্যায়ক্রমে দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ এবং স্কুলে দরিদ্র পরিবারের শিক্ষার্থীদের সহায়তা করার পরিকল্পনা আছে। যারা আমাদের কার্যক্রমে সহায়তা করছেন তাদের ধন্যবাদ।

বাংলাদেশ সময়: ১২৩০ ঘণ্টা, মে ০৮, ২০২০
এমএ/এসি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।