নেই কোনো লাইন ধরার হিড়িক। নেই হই হুল্লোড়।
ওএমএস'র চাল কিনতে উপচে পড়া ভিড়ের চিরচেনা দৃশ্যের বিপরীতে ব্যতিক্রমী এই দৃশ্যটি হাটহাজারীর ৩ নম্বর মেখল ফকিরহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের।
যেখানে বৃহস্পতিবার (৯ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে ১১টা ২০ এর মধ্যে হাটহাজারী পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ২০০ দিনমজুর ও নিম্নবিত্ত লোক ওএমএস'র চাল সংগ্রহ করেন।
করোনা ভাইরাস সংক্রমণের এই সময়ে লোকজনের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে উপজেলা প্রশাসন চাল বিক্রির ব্যতিক্রমী এ উদ্যোগ নেয়।
জানতে চাইলে হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রুহুল আমিন বাংলানিউজকে জানান, কম দামে চাল কিনতে ওএমএসে এসে ভিড় করেন সবাই। করোনার এই সময়ে এটি বড় বিপদ ডেকে আনতে পারে। এ কারণে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে হাটহাজারীতে ওএমএস'র চাল বিক্রির নিয়মে পরিবর্তন আনা হয়।
তিনি জানান, আগে যেখানে দীর্ঘ লাইন ধরে চাল কিনতে হতো- সেখানে এখন জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে প্রতি এলাকায় ২০০ লোকের তালিকা করছি আমরা। আগের রাতে এসব লোকের কাছে চাল সংগ্রহ করার টোকেন পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। যারা টোকেন পান তারা সকালে এসে নির্দিষ্ট বাক্সে ৫০ টাকা জমা দিয়ে একে একে ৫ কেজি চাল সংগ্রহ করেন।
এক প্রশ্নের উত্তরে ইউএনও জানান, হাটহাজারী পৌরসভায় ৯টি ওয়ার্ড আছে। প্রতি রোব, মঙ্গল ও বৃহস্পতিবার এসব ওয়ার্ডে পর্যায়ক্রমে ওএমএস'র চাল বিক্রি করবে খাদ্য অধিদফতরের লোকজন। সবাই যাতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চাল সংগ্রহ করে তা নিশ্চিত করবে উপজেলা প্রশাসন।
বাংলাদেশ সময়ঃ ১৯১৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৯, ২০২০
এমআর/টিসি