বৃহস্পতিবার (৯ এপ্রিল) বিকেলে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের সিনিয়র সহকারী কমিশনার (কোতোয়ালী জোন) নোবেল চাকমা বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
নোবেল চাকমা বাংলানিউজকে বলেন, হালিশহরের বাসিন্দা যিনি করোনা আক্রান্ত হয়েছেন তিনি ব্যাংক এশিয়া আন্দরকিল্লা শাখায় এসেছিলেন।
চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বির সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ ব্যাপারে অবগত নন বলে জানান।
এদিকে পুলিশ আনুষ্ঠানিকভাবে ব্যাংক এশিয়ার শাখা লকডাউন না করলেও শাখার কর্মকর্তারা হোম কোয়ারেন্টিনে চলে যাওয়ায় তা একপ্রকার বন্ধ হয়ে যায়।
ব্যাংক এশিয়া আন্দরকিল্লা শাখার প্রধান আলী তারেক পারভেজ বাংলানিউজকে বলেন, আমিসহ ব্যাংকের ১৫ জন কর্মকর্তাকে ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টিনে থাকতে বলেছে পুলিশ। আমরা হোম কোয়ারেন্টিনে চলে এসেছি। ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপ করে আপাতত আন্দরকিল্লা শাখার কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছি।
কোতোয়ালী থানার ওসি মোহাম্মদ মহসীন বাংলানিউজকে বলেন, গত ২৫ মার্চ ব্যাংক এশিয়ায় এসেছিলেন হালিশহরের আক্রান্ত ব্যক্তি। সিটি এসবি থেকে আমাদের এ তথ্য জানানোর পর ব্যাংকের ১৫ কর্মকর্তাকে হোম কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়েছে।
গত ৩ ও ৫ এপ্রিল নগরের দামপাড়ায় একই পরিবারের দুই জনের শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত করা হয়। বুধবার (৮ এপ্রিল) নগরের বিভিন্ন এলাকার আরও ৩ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ পাওয়া যায়। তারা সকলেই বর্তমানে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। করোনা শনাক্ত হওয়ার পর থেকে চট্টগ্রামে কয়েকটি এলাকায় বাড়ি ও দোকান লকডাউন করে পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৯, ২০২০
এমএম/এসকে/টিসি