করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটিতে নগরের বেশ কয়েকটি জায়গায় এমন বিব্রতকর অবস্থার সম্মুখীন হয়েছে পুলিশ। এসব মানুষকে বুঝিয়েও পারেন না তারা।
নগরের কোতোয়ালী, স্টেশন রোড, সিআরবি, বায়েজিদ, বহদ্দারহাট, ইপিজেড, বন্দরসহ কয়েকটি এলাকায় এমন ঘটনা প্রায় দেখা যায় বলে জানান পুলিশ সদস্যরা।
করোনা ভাইরাসের কারণে সড়কে বা কোথাও জড়ো করে ত্রাণ বিতরণ করা হচ্ছে না। অসহায়-দিনমজুর মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ত্রাণ পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে বিভিন্ন সংগঠনসহ পুলিশ, র্যাব, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে।
মধ্যবিত্ত পরিবার যারাও আর্থিক দুরবস্থার মধ্যে আছেন তাদেরকে গোপনে বাড়ি বাড়ি খাবার পৌঁছে দিচ্ছে পুলিশ। পুলিশ ও জেলা প্রশাসন হটলাইন নাম্বারও চালু করেছে সহায়তা চাওয়ার জন্য।
তবুও সড়কে একশ্রেণির মানুষের ত্রাণের জন্য গাড়ির কাছে ছুটে আসা বিব্রতকর বলে মন্তব্য করেন পুলিশে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। এমন বিব্রতকর অবস্থায় শুধু পুলিশ পড়েছে তা নয় জনপ্রতিনিধিরা পড়েছেন। সম্প্রতি সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের গাড়ির কাছে জটলা করে একশ্রেণির মানুষ। বন্দর থানার সামনে জড়ো হয়ে ত্রাণের জন্য বিশৃঙ্খলা করতে দেখা গেছে।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) সহকারী কমিশনার (চকবাজার জোন) মুহাম্মদ রাইসুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, বেশ কয়েকটি এলাকায় এমন পরিস্থিতি ফেস করেছি। গাড়ির কাছে এসে ত্রাণ চায় কিছু মানুষ। আমরা অসহায়-দিনমজুর মানুষের বাড়ি বাড়ি খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছি। তবুও সড়কে দায়িত্বরত অবস্থায় এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয় আমাদের।
জানতে চাইলে সিএমপি কমিশনার মো. মাহাবুবর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, করোনার কারণে মানুষ কষ্টে আছে। যারা দিনমজুর, দরিদ্র তারাই বেশি কষ্টে আছেন। আমরা সাধ্যমতো তাদের পাশে থাকার চেষ্টা করছি। আমাদের নজরে আসলে তাকেই সহায়তা করছি। বাড়ি বাড়ি খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছি। তবুও সড়কে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদের গাড়ি দেখলে কিছু মানুষ ত্রাণের জন্য ছুটে আসে। এটি আমাদের কষ্ট দেয়।
বাংলাদেশ সময়: ১১৪০ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৭, ২০২০
এসকে/টিসি