এই প্রণোদনা প্যাকেজ বঙ্গবন্ধুকন্যার সময়োপযোগী ঘোষণা বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রামের ব্যবসায়ী-শিল্পপতিরা। তারা বলছেন, দুর্যোগের এই সময়ে প্রধানমন্ত্রীর প্রণোদনা প্যাকেজ দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের চাকা সচল রাখতে বিশেষ ভূমিকা রাখবে।
চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি মাহবুবুল আলম বাংলানিউজকে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা একটা সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত। আমি আশা করবো, সঠিকভাবে যাচাই-বাছাই করে এই প্রণোদনা প্রকৃত অর্থেই ক্ষতিগ্রস্ত খাতে যাবে।
এফবিসিসিআই ও চট্টগ্রাম চেম্বারের সাবেক পরিচালক আমিরুল হক বাংলানিউজকে বলেন, করোনা ভাইরাসের প্রকোপ বেড়ে যাওয়ার পর ব্যবসায়ীরা চিন্তিত ছিলেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করে দেশের শিল্প-প্রতিষ্ঠান বাঁচানোর যে উদ্যোগ নিয়েছেন, তা অবশ্যই প্রশংসার যোগ্য।
পিএইচপি ফ্যামিলির ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মহসীন বাংলানিউজকে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা ব্যবসায়ী মহলে স্বস্তি এনে দিয়েছে। পাশাপাশি সুষম বন্টনের বিষয়টাকেও গুরুত্ব দিতে হবে। কারণ, রফতানিমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি স্থানীয় ব্যবসায়ী, উদ্যোক্তাদেরও অবদান আছে। তারা দেশের জনশক্তি ব্যবহার করে দেশীয় অর্থনীতিতে অবদান রাখছেন। তাই তারাও ক্ষতিগ্রস্ত।
শিল্পপতিরা বলছেন, এই প্রণোদনা হচ্ছে আপদকালীন সুবিধা হিসেবে স্বল্প সুদে ঋণ। এই প্রণোদনার কারণে অনেক কারখানা বন্ধ হয়ে যাওয়া থেকে রক্ষা পাবে। শ্রমিকদের বেতন দেওয়া যাবে। কারো চাকরি যাবে না। অন্তত আরও দুইমাস কোনো সংকট হবে না।
প্রধানমন্ত্রী এ বৈশ্বিক ও দেশীয় অর্থনৈতিক সঙ্কট হতে উত্তরণের জন্য রপ্তানি খাতের পাশাপাশি দেশীয় পণ্যের প্রতি বিশেষ নজর দিতে বলেছেন। এক্ষেত্রে তিনি সবাইকে দেশীয় পণ্যের উৎপাদন ও ব্যবহার বৃদ্ধির জন্য আহ্বানও জানান। দুর্যোগের এ সময়ে যে প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছে, এটা অবশ্যই প্রয়োজন ছিল বলে মনে করছেন তারা।
বাংলাদেশ সময়: ১২২০ ঘণ্টা, এপ্রিল ৬, ২০২০
এসি/টিসি