রোববার (৫ এপ্রিল) চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের পরিচালক (পরিবহন) বিজ্ঞপ্তি জারি করে স্টেক হোল্ডারদের বিষয়টি জানিয়ে দিয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মো. ওমর ফারুক বাংলানিউজকে বলেন, করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সামাজিক দূরত্ব ও ঘরে থাকার বিষয়টি নিশ্চিতে সরকারের জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় গত ২৪ মার্চ ও ১ এপ্রিল দুইটি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ছুটি ঘোষণা করেছে।
সূত্র জানায়, বর্তমানে চট্টগ্রাম বন্দরে কনটেইনার ধারণক্ষমতা ছুঁই ছুঁই করছে।
এফবিসিসিআইর সাবেক পরিচালক আমিরুল হক বাংলানিউজকে বলেন, স্টোররেন্ট শতভাগ ছাড়ের যে উদ্যোগ নিয়ে বন্দর কর্তৃপক্ষ তা ভালো উদ্যোগ। আমাদের দাবি হচ্ছে ফেব্রুয়ারি, মার্চ ও এপ্রিলে বন্দরের অন্যান্য যেসব চার্জ আছে সেগুলোও যাতে মওকুফ করা হয়।
বাংলাদেশ ফ্রেইট ফরওয়ার্ডার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাফা) পরিচালক খায়রুল আলম সুজন বাংলানিউজকে বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ ভালো উদ্যোগ নিয়েছে স্টোররেন্ট ছাড়ের সিদ্ধান্ত নিয়ে। এটি সব স্টেক হোল্ডার বিশেষ করে আমদানিকারকদের সংগঠনগুলোর মাধ্যমে সংশ্লিষ্টদের জানানো গেলে সুফল মিলবে।
এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরের কনটেইনার ডেলিভারি বাড়াতে পণ্য পরিবহন বিশেষ করে প্রাইম মুভার, ট্রাক, কাভার্ডভ্যান এগুলোর পর্যাপ্ত নিশ্চিত করতে হবে। এ ছাড়া এসব গাড়ি চলাচলে, বন্দরের পণ্য, কনটেইনার খালাসের কাজে নিয়োজিত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা, কর্মচারীদের চলাচলে যাতে অসুবিধা না হয় সেদিকেও নজর রাখতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২১২৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৫, ২০২০
এআর/টিসি