ওই মুসল্লি ঢাকার সাভার, সিলেট, পঞ্চগড় ও চট্টগ্রামের কয়েকটি মসজিদে তাবলীগ জামাতের সঙ্গে প্রায় ১ মাস ঘুরে শনিবার (৪ এপ্রিল) বাসায় ফিরেছেন।
রোববার (৫ এপ্রিল) দুপুরে ওই এলাকায় অভিযানে গিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত তাকে ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টিন পালনের নির্দেশ দেন।
তিনি বাংলানিউজকে জানান, ৫৯ বছর বয়সী ওই মুসল্লি বাংলাদেশ-কোরিয়া প্রশিক্ষণ কেন্দ্র কলোনিতে স্ত্রী এবং এক মেয়েকে নিয়ে ভাড়ায় থাকেন।
ম্যাজিস্ট্রেট জানান, যেহেতু তিনি দীর্ঘ সময় কয়েকটি জেলা ঘুরে বিভিন্ন মানুষের সংস্পর্শে এসেছেন, তাই এলাকাবাসীর নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে তাকে এবং তার স্ত্রী-মেয়েকে ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টিন পালনের নির্দেশ দিয়েছি আমরা।
অভিযানে আকবর শাহ ও পাহাড়তলী এলাকায় করোনা নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে অলিগলিতে মাইকিং, ত্রাণ বিতরণের সময় সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, বাজার মনিটরিংয়ের পাশাপাশি ফার্মেসি ছাড়া সব দোকান বিকেল ৫টার পর বন্ধ রাখতে অনুরোধ করা হয় বলে জানান তিনি।
রোববার (৫ এপ্রিল) সকালের শিফটে চট্টগ্রাম নগরে মানুষের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা এবং হোম কোয়ারেন্টিন পর্যালোচনা করতে আরও ৩ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অভিযান পরিচালনা করেন।
এর মধ্য নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রেজওয়ানা আফরিন ডবলমুরিং, বন্দর, ইপিজেড ও পতেঙ্গার বিভিন্ন আবাসিক এলাকা ও বাজারে করোনা ভাইরাসজনিত প্রাদুর্ভাব প্রতিরোধের লক্ষ্যে বাধ্যতামূলক হোম কোয়ারেন্টিন ও সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে এলাকাবাসীকে সচেতন করেন।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফাহমিদা আফরোজ নগরের কোতোয়ালী, সদরঘাট, চকবাজার ও বায়েজিদ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন। তিনি দণ্ডবিধি ২৬৯ ধারা ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন লঙ্ঘনের দায়ে ৬ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
নগরের চান্দগাঁও, পাঁচলাইশ, খুলশী ও বাকলিয়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আশরাফুল আলম। তিনি ফয়’স লেক এলাকায় সেলুন খোলা রাখায় মালিককে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১০ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৫, ২০২০
এমআর/টিসি