সংগঠনের এক বিবৃতিতে বলা হয়, গত ফেব্রুয়ারি মাস থেকে জুন পর্যন্ত পূর্বানুমান থেকে বুঝা যায়- এইওএসআইবি এর অন্তর্ভুক্ত প্রায় ২০টি জাহাজ নির্মাণ প্রতিষ্ঠান এবং অ্যাসোসিয়েশনের অন্তর্ভুক্ত ছাড়া আরও প্রায় ৮০টি জাহাজ নির্মাণ প্রতিষ্ঠান প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হবে। এ শিল্পের সঙ্গে প্রায় ২ লক্ষাধিক জনবল প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত।
‘বর্তমানে অবস্থার প্রেক্ষিতে প্রায় ১ লক্ষাধিক স্থায়ী-অস্থায়ী শ্রমিক ও কর্মচারী চাকরিচ্যুত বা মাসিক বেতন সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবে। জাহাজ নির্মাণ শিল্পগুলোয় বর্তমানে চরম সংকট বিরাজমান এবং চলমান জাহাজ নির্মাণ কার্যক্রমও বন্ধ।
বিশ্বায়নের যুগে বর্তমান সরকার যেসব সেক্টরগুলোকে প্রাধান্য দিয়ে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে ‘ভিশন ২০২১’ থেকে উন্নয়নকল্প ২০৪১ বাস্তবায়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, এর মধ্যে জাহাজ নির্মাণশিল্প অন্যতম। তাই বর্তমান অবস্থা থেকে উত্তোরণের জন্য প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ তহবিল থেকে অনুদান প্রদানের জন্য অর্থমন্ত্রী ও শিল্পমন্ত্রীর সহযোগিতা কামনা করা হয়েছে বিবৃতিতে।
এইওএসআইবি এর অন্তর্ভুক্ত জাহাজ নির্মাণ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে তাদের সুপারিশ বিবেচনার জন্য অনুরোধ জানানো হয়। সুপারিশগুলো হলো: শ্রমিক ও কর্মচারীদের ডিসেম্বর পর্যন্ত বেতন বাবদ প্রতিমাসে প্রত্যেক কর্মচারীকে ৫০ হাজার টাকা আর্থিক অনুদান প্রদান। জাহাজ নির্মাণ শিল্পগুলোর মাসিক বিদ্যুৎ বিল, গ্যাস বিল ও পানির বিল ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত মওকুফ করা। শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন ভাতার ওপর আয়কর মওকুফ করা। শিপইয়ার্ডগুলো চালু রাখার ক্ষেত্রে ২% সরল সুদে ওয়াকিং ক্যাপিটাল হিসাবে ৩ হাজার কোটি টাকা ঋণের ব্যবস্থা করা।
বাংলাদেশ সময়: ১০৪৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৫, ২০২০
এসি/টিসি