ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বাসা ছেড়ে সড়কে, ৭ জনকে জরিমানা

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ৩, ২০২০
বাসা ছেড়ে সড়কে, ৭ জনকে জরিমানা অভিযানে নেতৃত্ব দেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. তৌহিদুল ইসলাম

চট্টগ্রাম: বাসা ছেড়ে বিনা প্রয়োজনে সড়কে ঘোরাঘুরি করায় চট্টগ্রাম নগরে ৭ জনকে জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

শুক্রবার (৩ এপ্রিল) সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত নগরের চান্দগাঁও, পাঁচলাইশ, খুলশী এবং বাকলিয়া থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে চান্দগাঁও থানার সামনে ২ জন, জিইসি মোড়ে ২ জন এবং লালখান বাজার মোড়ে ৩ জনকে জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে বাঁচতে সরকারি নির্দেশনা প্রতিপালন করতে পরিচালিত এ অভিযানে নেতৃত্ব দেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. তৌহিদুল ইসলাম।

তিনি বাংলানিউজকে জানান, সরকারি নির্দেশনা না মেনে বাসা ছেড়ে সড়কে মোটরসাইকেল এবং প্রাইভেট কার নিয়ে বের হয়েছিলেন তারা। যৌথ বাহিনীর জিজ্ঞাসাবাদে বের হওয়ার কোনো যৌক্তিক কারণ দেখাতে না পারায় তাদের মোট ৯ হাজার ২০০ টাকা জরিমানা করা হয়।

এদিন সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের আরও ৩ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট চট্টগ্রাম নগরের বিভিন্ন এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।

নগরের ডবলমুরিং, বন্দর এবং ইপিজেড থানায় পরিচালিত অভিযানে নেতৃত্ব দেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আশরাফুল হাসান। অভিযানে তার সঙ্গে ক্যাপ্টেন তাজের অধীনে সেনাবাহিনীর সদস্যরা অংশ নেন।

ম্যাজিস্ট্রেট আশরাফুল হাসান বাংলানিউজকে জানান, সম্প্রতি বিদেশফেরতদের হোম কোয়ারেন্টিন পর্যালোচনা, লোকজনকে ঘরের বাইরে না আসার আহ্বানের পাশাপাশি কাটগড় এলাকায় বাড়তি দামে মাংস বিক্রি করায় এক দোকানিকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

নগরের চকবাজার, বায়েজিদ, সদরঘাট, এবং কোতোয়ালী থানা এলাকায় পরিচালিত অভিযানে নেতৃত্ব দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ রানা। অভিযানে তার সঙ্গে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের সদস্যরা অংশ নেন।

ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ রানা বাংলানিউজকে জানান, অভিযানে সম্প্রতি বিদেশফেরতদের হোম কোয়ারেন্টিন পর্যালোচনা, লোকজনকে ঘরের বাইরে না আসার আহ্বান জানিয়েছি আমরা। এছাড়া আন্দরকিল্লার হাজারী গলি এলাকায় হোটেল খোলা রেখে খাবার পরিবেশনের দায়ে ২টি হোটেলকে ৬ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। ৫টি অস্থায়ী ফুলের দোকান উচ্ছেদ করা হয়।

নগরের পাহাড়তলী, আকবর শাহ এবং হালিশহর থানা এলাকায় পরিচালিত অভিযানে নেতৃত্ব দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আশিক-উর-রহমান। অভিযানে তার সঙ্গে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের সদস্যরা অংশ নেন।

ম্যাজিস্ট্রেট আশিক-উর-রহমান বাংলানিউজকে জানান, লোকজনকে জরিমানার পরিবর্তে করোনা ভাইরাসের ভয়াবহতা সম্পর্কে সচেতন করেছি আমরা। বিদেশফেরতদের হোম কোয়ারেন্টিন মানার পরামর্শসহ ওই এলাকার বাসিন্দাদের জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে না আসার অনুরোধ জানিয়েছি।

অভিযানে হালিশহর এলাকায় হোটেল খোলা রেখে ভেতরে খাবার পরিবেশনের দায়ে মালিককে ৫০০ টাকা জরিমানা করা হয় বলে জানান তিনি।

চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বদিউল আলম বাংলানিউজকে জানান, সম্প্রতি বিদেশফেরতদের হোম কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করার পাশাপাশি লোকজনের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব বাজায় রাখতে চট্টগ্রামে প্রশাসন ও সেনাবাহিনী কাজ করছে।

তিনি জানান, আগে এক শিফটে ৪ জন ম্যাজিস্ট্রেট সারাদিন নগরে দায়িত্ব পালন করলেও অভিযানের ব্যপ্তি বাড়াতে এখন দুই শিফটে ১০ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রতিদিন অভিযান পরিচালনা করছেন।

‘সরকার ছুটি দিয়েছে লোকজনকে ঘরে থাকার জন্য। কেউ সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে অপ্রয়োজনে বাইরে ঘোরাঘুরি করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শুক্রবারের অভিযানেও ১১টি মামলায় ২০ হাজার ৭০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। ’

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫০ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৩, ২০২০
এমআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।