ঢাকা, শুক্রবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

করোনার প্রভাব কম নিত্যপণ্যের বাজারে

নিউজরুম এডিটর | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩২০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১, ২০২০
করোনার প্রভাব কম নিত্যপণ্যের বাজারে সবজির দাম এখনও ক্রেতাদের নাগালের মধ্যেই।

চট্টগ্রাম: করোনাভাইরাসের প্রকোপে যানবাহন চলাচল কমে গেলেও পণ্য পরিবহনে ব্যবহৃত ট্রাক নিয়মিত আসছে নগরে। চালু আছে মালবাহী ট্রেনও। রেয়াজউদ্দিন বাজারের আড়তে প্রতিদিন সন্ধ্যার পর ট্রাক থেকে খালাস করা হচ্ছে সবজি। তাই এখানকার বাজারে নিত্যপণ্যের দাম এখনও ক্রেতাদের নাগালের মধ্যেই আছে।

এর মধ্যে সবজি ও ভোগ্যপণ্যের বাজারে প্রায়ই অভিযান চালাচ্ছে জেলা প্রশাসন। গত কয়েকদিন ধরে জেলা প্রশাসনের একাধিক ম্যাজিস্ট্রেট বিভিন্ন বাজারে অভিযান চালিয়েছেন।

বাড়তি দাম রাখায় জরিমানাও করা হয়েছে।

চাক্তাই-খাতুনগঞ্জে বাজার ঘুরে দেখা যায়, মোটা আতপ চাল  ১৬-১৭শ টাকা, মোটা সিদ্ধ চাল ১৬শ ৫০টাকা, বেতি-২৯ ও বেতি-২৮ চাল ২২-২৩শ টাকা, মিনিকেট আতপ ২৪শ টাকা, মিনিকেট সিদ্ধ ২৩শ টাকা, জিরাশাইল ২৫শ টাকা, নূরজাহান সিদ্ধ ১৯শ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

খুচরা বাজারে মোটা মসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে কেজি ৬৫ টাকা, চিকন মসুর ডাল ১২০ টাকা, চনার ডাল ৪০ টাকা, ছোলা ৮০ টাকা, বোতলজাত সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ১১০ টাকা দরে। বর্তমানে পাইকারীতে ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে মানভেদে প্রতিকেজি ৩০ থেকে ৩৭ টাকা, মিয়ানমারের পেঁয়াজ ৩৫ থেকে ৩৭ টাকা এবং দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২৮ থেকে ৩০ টাকায়।

এদিকে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে অফিস-আদালত বন্ধসহ স্বাভাবিক কার্যক্রম না থাকায় চট্টগ্রাম বন্দরে কন্টেনার হ্যান্ডলিংয়ের পরিমাণ কমে গেছে। এর প্রভাব পড়েছে ফলের বাজারে। খুচরা বিক্রেতা ফলের দোকানীরা জানান, কমলা ১৮০- ২০০ টাকা, আপেল ২০০-২২০ টাকা, মাল্টা ১৬০-১৮০ টাকা, আঙ্গুরের দাম বেড়ে হয়েছে ৩৫০ টাকা।

বুধবার (১ এপ্রিল) কাঁচাবাজারে প্রায় সস্তা দামেই বিকোচ্ছে টমেটো। ভ্যান গাড়িতে ১০ টাকা, দোকানে ২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে এই সবজি। এছাড়া বাজারে ফুলকপি ৩৫-৪০ টাকা, বরবটি ৬০ টাকা, বেগুন ৪০ টাকা, করলা ৪০ টাকা, শসা ৫০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ২৫ টাকা, চিচিঙ্গা ৩০ টাকা, শিম ৫০ টাকা, মুলা ৩০ টাকা, বাঁধাকপি ২৫ টাকা, লেবু প্রতিটি ১৫ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।

জেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আখতারুজ্জামান জানান, ‘জমিতে এখনো প্রচুর শীতকালীন সবজি রয়েছে। এরইমধ্যে চলছে গ্রীষ্মকালীন শাক-সবজি ও রবিশস্য রোপণ। কৃষিপণ্য পরিবহনও স্বাভাবিক থাকায় বাজারে সবজির সংকট হবে না।

মাছ-মাংসের বাজারে ক্রেতা কম থাকলেও দাম তেমন বাড়েনি। প্রতি কেজি চিংড়ি বিক্রি হচ্ছে ৫শ থেকে ৭শ টাকায়, রুই মাছ ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকা, লইট্যা মাছ ১১০ থেকে ১৩০ টাকা, রুপচাঁদা মাছ ৪৫০ থেকে ৬০০ টাকা, কাতাল মাছ ২৬০ থেকে ৩৫০ টাকা, নাইলেটিকা মাছ ১৫০ থেকে ১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি সোনালী মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২২০ টাকা এবং দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩৮০ টাকায়। প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৫৪০ টাকা থেকে ৬০০ টাকায়।

এদিকে নগরে ২২টি ট্রাকে করে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) পণ্য বিক্রি করছে। এখানে তুলনামূলক কম দামে  মিলছে পেঁয়াজ, তেল, চিনি ও ডাল।

বাংলাদেশ সময়: ১৩১৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ০১, ২০২০
এসি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।