ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

আমদানি পণ্য ছাড় ও বাণিজ্য সুরক্ষায় চেম্বার সভাপতির প্রস্তাব

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১৭ ঘণ্টা, মার্চ ৩১, ২০২০
আমদানি পণ্য ছাড় ও বাণিজ্য সুরক্ষায় চেম্বার সভাপতির প্রস্তাব

চট্টগ্রাম: করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতকরণ কর্মসূচির কারণে দেশের আমদানি ও ব্যবসা-বাণিজ্য সুরক্ষায় শতবর্ষী বাণিজ্য সংগঠন চট্টগ্রাম চেম্বারের সভাপতি মাহবুবুল আলম ১০টি প্রস্তাব দিয়েছেন।

মঙ্গলবার (৩১ মার্চ) তিনি মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়ে এসব প্রস্তাব দেন।   

চিঠিতে চেম্বার সভাপতি বলেন, করোনা পরিস্থিতির কারণে বাংলাদেশের বর্তমান অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানগুলো আর্থিক সংকটে পড়ে অস্তিত্ব বিলীন হওয়ার সম্মুখীন।

এ পরিস্থিতিতে আমদানিকারকসহ ব্যবসায়ীদের সুযোগ সুবিধা প্রদানের মাধ্যমে অস্তিত্ব রক্ষায় সহায়তা করা এবং আমদানিকৃত পণ্য সামগ্রী বন্দর থেকে দ্রুত ছাড়করণ, ওষুধ ও ভোগ্যপণ্য সরবরাহ ব্যবস্থা নির্বিঘ্ন রাখা জরুরি।

প্রস্তাবগুলো হচ্ছে-

কাস্টম ক্লিয়ারিং চালু থাকলেও আমদানিকৃত ভোগ্যপণ্য, বিভিন্ন ফলমূল ইত্যাদি বন্দর থেকে ছাড় করতে হলে এসব পণ্যের মধ্যে কোনো প্রকার জীবাণু আছে কিনা তা পরীক্ষা করার জন্য কোয়ারেন্টিন এবং রেডিয়েশন পরীক্ষা করতে হয়।

কিন্তু বর্তমানে এসব পরীক্ষা চালু না থাকায় চট্টগ্রাম বন্দরে আমদানিকৃত বিপুল পরিমাণ পণ্য আটকে আছে। এসব পণ্য ছাড় করার লক্ষ্যে কোয়ারেন্টিন ও রেডিয়েশন পরীক্ষা করার জন্য অতি দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানাচ্ছি। বর্তমান সংকটময় পরিস্থিতিতে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে সহায়তার লক্ষ্যে উল্লেখিত পরীক্ষা সম্পন্ন করে বন্দর থেকে ছাড় করণে সহায়তা করা প্রয়োজন। এ ব্যাপারে চট্টগ্রামের আঞ্চলিক অফিস যাতে কার্যক্রম চালু রাখে তা নিশ্চিত করতে হবে।  

আমদানিকারকদের সহায়তা করার লক্ষ্যে মার্চ-মে পর্যন্ত বন্দরের সমুদয় চার্জ মওকুফ করতে হবে। পাশাপাশি বিভিন্ন অফডক ও শিপিং এজেন্টের ওয়্যার ফেয়ার চার্জ মওকুফ করতে হবে। কেননা, বর্তমান পরিস্থিতির কারণে অনেক আমদানিকারক তাদের আমদানিকৃত পণ্য বন্দর থেকে ছাড় করতে পারছেন না। বিভিন্ন গ্রাহকের কাছ থেকে পাওনা অর্থ আদায় করা সম্ভব হচ্ছে না। সারাদেশে পণ্য পরিবহন অনেকাংশে বন্ধ থাকায় পণ্য সরবরাহ সম্ভব হচ্ছে না। এসব বিষয় বিবেচনাপূর্বক আমদানিকারকদের জন্য বর্ণিত সময়ে সমুদয় পোর্ট চার্জ, অফডক ও শিপিং এজেন্টের ওয়্যার ফেয়ার চার্জ মওকুফ করার জন্য বিশেষভাবে আবেদন জানান চেম্বার সভাপতি।

এ পরিস্থিতিতে বিভিন্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠানের গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানি ইত্যাদি ইউটিলিটি বিল সারচার্জবিহীনভাবে পরিশোধের জন্য আগামী জুন পর্যন্ত সুযোগ দেওয়া, শিল্প ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের দায়ভার কিছুটা লাঘবে মার্চ থেকে মে পর্যন্ত আমদানি পর্যায়ে সব ধরনের ভ্যাট অব্যাহতি প্রদান, সব টার্ম লোনের ইনস্টলমেন্ট এখন থেকে ৯০ দিনের জন্য রিশিডিউল করা, স্বল্পমেয়াদি মূলধনের সুদ ৯০ দিনের জন্য মওকুফ, ১ মাসের গ্যাস, বিদ্যুৎ বিল মওকুফ, সরকার নির্দেশিত বন্ধের সমপরিমাণ শ্রমিক মুজরি প্রদান, জরুরি ওষুধ, চিকিৎসা সামগ্রী ও নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যের সরবরাহ স্বাভাবিক রাখা এবং কেউ যাতে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি করতে না পারে তার জন্য কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়ে প্রস্তাবনা দেন চেম্বার সভাপতি।  

তিনি বর্তমানে কোনো ক্যাশ ফ্লো না থাকলেও ব্যাংকঋণের সুদ চলমান রয়েছে যা বিবেচনা করা প্রয়োজন বলে উল্লেখ করেন চিঠিতে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬১৪ ঘণ্টা, মার্চ ৩১, ২০২০
এআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।