ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বিদ্যুতের বাণিজ্যিক গ্রাহকের মাশুলও বাতিলের দাবি

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫৭ ঘণ্টা, মার্চ ২৯, ২০২০
বিদ্যুতের বাণিজ্যিক গ্রাহকের মাশুলও বাতিলের দাবি আবাসিক বিদ্যুৎ গ্রাহকের ফেব্রুয়ারি-এপ্রিলের বিদ্যুৎ বিল পরিশোধে বিলম্ব মাশুল দিতে হবে না

চট্টগ্রাম: করোনাভাইরাস প্রতিরোধে দেশজুড়ে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত কর্মসূচির কারণে আবাসিক খাতে গ্যাস-বিদ্যুতের ক্ষেত্রে যে সুবিধা দেওয়া হচ্ছে অনুরূপ বাণিজ্যিক শ্রেণির গ্রাহকদেরও দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

শতবর্ষী বাণিজ্য সংগঠন চট্টগ্রাম চেম্বারের সভাপতি মাহবুবুল আলম বাংলানিউজকে বলেন, গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানিসহ অন্যান্য ইউটিলিটি সার্ভিসের বিল জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে আবাসিক গ্রাহকরা যেসব অসুবিধার সম্মুখীন বাণিজ্যিক গ্রাহকেরাও অনুরূপ সমস্যায় রয়েছেন। কোনো কোনো ক্ষেত্রে বাণিজ্যিক গ্রাহকদের ব্যাংরঋণের সুদ, শ্রমিকদের মজুরি, ভাতাসহ অনেক বাড়তি চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হচ্ছে।

তাই ব্যবসায়ীদের দাবি হচ্ছে-গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানিসহ সব ক্ষেত্রে ফেব্রুয়ারি, মার্চ ও এপ্রিলের সারসার্জ বা বিলম্ব পরিশোধ মাশুল বাতিল ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করা। একই সঙ্গে নিরবচ্ছিন্ন সেবা নিশ্চিত করা।
    

এফবিসিসিআই’র সাবেক পরিচালক আমিরুল হক বলেন, একটি দেশে আইন সবার জন্য সমান হওয়া প্রয়োজন, বাণিজ্যিক বোঝাতে শুধু শিল্প-কারখানা নয়, দোকানপাটও বোঝায়। এ পরিস্থিতিতে বিশ্ব অর্থনীতিতে এমনিতে ধাক্কা লেগেছে, তাই বিষয়টি পুনঃবিবেচনার দাবি জানাচ্ছি।

সূত্র জানায়, গত ২৪ মার্চ বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে-বর্তমানে নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ এড়াতে অধিকাংশ বিদ্যুৎ গ্রাহক জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাসা-বাড়ি থেকে বের হচ্ছেন না। এর পরিপ্রেক্ষিতে ফেব্রুয়ারি, মার্চ ও এপ্রিল-২০২০ মাসে অনেক গ্রাহকই নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করতে পারবে না মর্মে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের বিদ্যুৎ বিভাগ এবং বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থা/কোম্পানিসমূহে জানানো হয়েছে। এ অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে শুধু আবাসিক গ্রাহকগণের ক্ষেত্রে ফেব্রুয়ারি-এপ্রিল মাসের বিদ্যুৎ বিল সারসার্জ বা বিলম্ব মাশুল ব্যতিরেকে পরিশোধের নিমিত্তে পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিদ্যুৎ বিভাগ এবং বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থা/কোম্পানিগুলো কর্তৃক কমিশন বরাবর যথাক্রমে অনুরোধ এবং আবেদন জানানো হয়েছে।

বর্ণিত অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে খুচরা বিদ্যুৎ মূল্যহার সংক্রান্ত কমিশনের গত ২৭ জানুয়ারির আদেশগুলো মোতাবেক কমিশনের স্মারকের মাধ্যমে জারিকৃত খুচরা বিদ্যুৎ মূল্যহার, ২০২০ এর শর্তাবলি, প্রযোজ্যতা এবং বিবিধ চার্জ/ফি সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনের অনুচ্ছেদ ১ (ক) এ উল্লেখিত বিলম্ব পরিশোধ মাশুল (লেট পেমেন্ট সারসার্জ) শুধু আবাসিক গ্রাহকশ্রেণির (এলটি-এ এবং এমটি-১) ক্ষেত্রে বিল ফেব্রুয়ারি-এপ্রিলের বিদ্যুৎ বিলসমূহ পরিশোধে প্রযোজ্য (বিলম্ব পরিশোধ মাশুল) হবে না। অন্যান্য বিষয় অপরিবর্তিত থাকবে।

ইতিমধ্যে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতকরণ কর্মসূচির কারণে গ্যাসের প্রি-পেইড মিটারের ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স বাড়িয়ে ১ হাজার টাকা করা হয়েছে। পাশাপাশি বিদ্যুতের প্রি-পেইড মিটারে টাকা না থাকলেও ফোনে যোগাযোগ করলেই মিটারের ব্লক খুলে দেবে কর্তৃপক্ষ। এতে বিদ্যুৎ ব্যবহার করতে পারবেন গ্রাহকরা।

বাংলাদেশ সময়: ১৯২৫ ঘণ্টা, মার্চ ২৯, ২০২০
এআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।