শুধু তা-ই নয়, বাজারে লেবুর কৃত্রিম সংকট তৈরি হয়েছে। দেশে করোনা ভাইরাস শনাক্তের আগে কাঁচাবাজারের প্রতিটি দোকানে লেবু রাখতন ব্যবসায়ীরা।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, আড়তেও পর্যাপ্ত লেবু পাওয়া যাচ্ছে না।
এদিকে বেশ কয়েকদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে বিভিন্ন পেইজ ও গ্রুপে পোস্ট হচ্ছে, রং চায়ের সঙ্গে লেবু মিশিয়ে খেলে করোনা ভাইরাস থেকে মুক্তি মেলে। এমন খবরে বাজারে লেবুর এ সংকট তৈরি হয়।
অবশ্য চিকিৎসকরা বলছেন, একটি মাঝারি আকৃতির লেবু থেকে চল্লিশ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি বা এসকরবিক এসিড পাওয়া যা একজন মানুষের দৈনিক চাহিদা পূরণের জন্য যথেষ্ট। ভিটামিন ‘সি’ দেহের রোগ প্রতিরোধকারী কোষগুলোর কার্যক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। শরীরের কোনো অংশ কেটে গেলে বা ক্ষত হলে দ্রুতগতিতে কোলাজেন কোষ উপাদান তৈরি করে ক্ষত নিরাময়েও সাহায্য করে এই ভিটামিন ‘সি’। লেবুতে পর্যাপ্ত পরিমাণ সাইট্রিক এসিড বিদ্যমান যা ক্যালসিয়াম নির্গমন হ্রাস করে পাথুরী রোগ প্রতিহত করতে পারে। লেবুর খোসার ভেতরের অংশে ‘রুটিন’ নামের বিশেষ ফ্ল্যাভানয়েড উপাদান আছে যা শিরা এবং রক্তজালিকার প্রাচীরকে যথেষ্ট শক্তিশালী এবং সুরক্ষা দেয়।
শনিবার (২৮ মার্চ) বিকেলে রেয়াজউদ্দিন বাজার, কাজীর দেউড়ি বাজার ও আসকারদিঘী কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা যায়, বাজারে ছোট ও মাঝারি দুই ধরনের লেবু পাওয়া যাচ্ছে। এরমধ্যে ছোট লেবুর দাম প্রতিটি ১০-১৫ টাকা। মাঝারি ধরনের লেবুর দাম প্রতিটি ৩০ টাকা।
আসকারদিঘীর কাঁচাবাজারের দোকানদার মো. এনাম বাংলানিউজকে বলেন, লেবুর সরবরাহ কম। কয়েকদিন ধরে প্রচুর লেবুর চাহিদা। আড়ত থেকে লেবু বেশি দামে কিনতে হওয়ায় ছোট সাইজের প্রতিটি লেবু ১৫ টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে। এসব লেবুর রসও কম, তবে মাঝারি লেবুর প্রতিটির দাম ৩০ টাকা।
কাজীর দেউড়ি এলাকার বাসিন্দা আবুল কাশেম বাংলানিউজকে বলেন, করোনা ভাইরাসে লেবুর রস কাজ দেয়-এমন খবরে প্রায় লোক লেবু খাওয়া বাড়িয়ে দিয়েছে। আমি ৮টি দোকান ঘুরে মাত্র দুটিতে লেবু পেলাম। এরমধ্যে ছোট সাইজের লেবু যেগুলো বিক্রি হচ্ছে, সেগুলো এখনও পরিপক্ক হয়নি। অথচ এসব লেবু প্রতিটির দাম ১৫ টাকা। মাঝারি সাইজের লেবু মাত্র একটি দোকানে পেলাম। এসব লেবুর দামও বেশি, প্রতিটি ৩০ টাকা।
বাংলাদেশ সময়: ১০০০ ঘণ্টা, মার্চ ২৯, ২০২০
জেইউ/এসি/টিসি