শনিবার (২৮ মার্চ) সকাল থেকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং সহকারী কমিশনাররা (ভূমি) স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সহায়তায় নিজ নিজ উপজেলার দিনমজুরদের বাড়ি গিয়ে এসব খাবার পৌঁছে দিচ্ছেন।
হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রুহুল আমিন বাংলানিউজকে জানান, হাটহাজারীর ১৪টি ইউনিয়ন এবং ১টি পৌরসভার ৭৫০টি পরিবারকে ১০ কেজি চাল এবং ১ কেজি করে ডাল দেওয়া হচ্ছে।
তিনি জানান, যেসব ইউনিয়ন উপজেলা সদরের কাছে সেখানে আমরা বাড়ি বাড়ি খাবার পৌঁছে দিচ্ছি। বাকি ইউনিয়নে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এবং মেম্বারদের সহায়তায় নিম্ন আয়ের লোকজনের কাছে খাবার পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।
রাউজান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জোনায়েদ কবীর সোহাগ বাংলানিউজকে জানান, জেলা প্রশাসন, স্থানীয় সংসদ সদস্য এবং ধনাঢ্য ব্যক্তিদের সহায়তায় রাউজানের ১৪টি ইউনিয়ন এবং ১টি পৌরসভায় ২০ হাজার পরিবারকে বাড়িতে গিয়ে শুকনো খাবার পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।
তিনি জানান, প্রতি পরিবারের জন্য ১০ কেজি চাল, ১ কেজি ডাল, ২ কেজি আলু, ১ লিটার তেল, ১ প্যাকেট বিস্কুট দেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও যাদের জরুরি ওষুধ প্রয়োজন তাদের ওষুধও দেওয়া হচ্ছে।
মিরসরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুহুল আমিন বাংলানিউজকে জানান, মিরসরাইয়ের ১৫টি ইউনিয়ন এবং ২টি পৌরসভার ১ হাজার ৩০০ পরিবারকে জেলা প্রশাসনের ত্রাণ সহায়তা বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। প্রতিটি পরিবারকে ১০ কেজি চাল এবং ১ কেজি করে ডাল দেওয়া হচ্ছে।
সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মিল্টন রায় বাংলানিউজকে জানান, সীতাকুণ্ডে ৯টি ইউনিয়ন এবং ১টি পৌরসভার ১ হাজার ৭০০ পরিবারকে সরকারি এবং বেসরকারি উদ্যোগে শুকনো খাবার পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।
তিনি জানান, ১ হাজার ২০০ পরিবারকে ১০ কেজি চাল এবং পরিমাণমতো ডাল-আলু দিচ্ছি আমরা। ৫০০ পরিবারকে ৫ কেজি চাল, ১ কেজি ডাল, ৫০০ গ্রাম তেল-পেঁয়াজ ও চিনি এবং চা-দুধ দেওয়া হচ্ছে।
সন্দ্বীপ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বিদর্শী সম্বৌধি চাকমা বাংলানিউজকে জানান, সন্দ্বীপে ১ হাজার ৫০০ পরিবারকে জেলা প্রশাসনের সহায়তায় বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে খাদ্যদ্রব্য। প্রতিটি পরিবারকে ১০ কেজি করে চাল, ১ কেজি ডাল এবং ২ কেজি আলু দেওয়া হচ্ছে।
ফটিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সায়েদুল আরেফিন বাংলানিউজকে জানান, ফটিকছড়িতে ১৮টি ইউনিয়ন এবং ২টি পৌরসভার ১ হাজার ৭০০ পরিবারকে জেলা প্রশাসনের সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।
তিনি জানান, প্রতিটি পরিবারকে ১০ কেজি চাল, ২ কেজি ডাল, ১ কেজি পেঁয়াজ, ১ কেজি লবন, ৫০০ গ্রাম তেল এবং একটি সাবান দেওয়া হচ্ছে।
রাঙ্গুনিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাসুদুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, রাঙ্গুনিয়ার ১৫টি ইউনিয়ন এবং ১টি পৌরসভার ২ হাজার পরিবারকে ৫ কেজি চাল এবং ৫০০ গ্রাম ডাল দেওয়া হচ্ছে।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, ধনাঢ্য ব্যক্তি এবং সামাজিক সংগঠনের সহায়তায় আরও শুকনো খাবার দিনমজুরদের দেওয়ার চেষ্টা চলছে বলে জানান তিনি।
বোয়ালখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আছিয়া খাতুন বাংলানিউজকে জানান, বোয়ালখালীর ৯টি ইউনিয়ন এবং ১টি পৌরসভার ১ হাজার পরিবারকে ১০ কেজি চাল, ৫০০ গ্রাম ডাল-তেল-লবন এবং ১টি সাবান দেওয়া হচ্ছে।
লোহাগাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তৌছিফ আহমেদ বাংলানিউজকে জানান, লোহাগাড়ার ৯টি ইউনিয়নে ১ হাজার পরিবারকে ১০ কেজি চাল, ১ কেজি ডাল, ৫০০ গ্রাম তেল এবং চিড়া-মুড়ি দেওয়া হচ্ছে। ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এবং মেম্বাররা তালিকা অনুযায়ী বাড়ি বাড়ি এসব খাবার পৌঁছে দিচ্ছেন।
আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ জোবায়ের আহমেদ বাংলানিউজকে জানান, আনোয়ারায় ১১টি ইউনিয়নের ৮০০ পরিবারকে ১০ কেজি চাল, ১ কেজি ডাল-তেল-আলু এবং একটি সাবান পৌঁছে দিচ্ছেন তারা।
পটিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারহানা জাহান উপমা বাংলানিউজকে জানান, পটিয়ায় ১৭টি ইউনিয়ন এবং ১টি পৌরসভার ৯০০ পরিবারকে ১০ কেজি চাল, ১ কেজি আলু পৌঁছে দিচ্ছেন তারা।
সাতকানিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নূরে আলম বাংলানিউজকে জানান, সাতকানিয়ার ১৭টি ইউনিয়ন এবং ১টি পৌরসভার ১ হাজার পরিবারকে ১০ কেজি চাল দিচ্ছেন তারা। এরমধ্যে যারা বেশি দরিদ্র তাদের আলু-তেল দেওয়া হচ্ছে।
এছাড়াও চট্টগ্রামের চন্দনাইশ, বাঁশখালী এবং কর্ণফুলী উপজেলাতেও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা (ইউএনও) স্থানীয় চেয়ারম্যান-মেম্বারদের সহায়তায় দিনমজুরদের বাড়ি বাড়ি জেলা প্রশাসনের দেওয়া খাবার পৌঁছে দিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
এর আগে শুক্রবার বিকেলে চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. কামাল হোসেন বাংলানিউজকে জানান, চট্টগ্রামে একজন মানুষও যাতে অভুক্ত না থাকে সে জন্যে কাজ করছে জেলা প্রশাসন। সহায়তার জন্য কাউকে আসতে হবে না। দরিদ্র দিনমজুরদের বাড়ি বাড়ি খাবার পৌঁছে দেবো আমরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৫ ঘণ্টা, মার্চ ২৮, ২০২০
এমআর/এসি/টিসি