সিএমপি কমিশনার মো. মাহাবুবর রহমানের নির্দেশনায় নগরের ১৬ থানায় চালু করা হয়েছে পুলিশের ‘হোম সার্ভিস’ সুবিধা। সিএমপি হটলাইন ছাড়াও জোনের সংশ্লিষ্ট থানার ডিউটি অফিসারের নাম্বারে ফোন করে অর্ডার দিলে বাজার নিয়ে হাজির হচ্ছে পুলিশ।
শনিবার (২৮ মার্চ) সকাল থেকে চারটি পরিবারকে তাদের চাহিদামতো বাজার পৌঁছে দিয়েছে খুলশী থানা পুলিশের সদস্যরা।
খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রনব চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, সকাল থেকে খুলশী থানাধীন বিভিন্ন এলাকায় চারটি পরিবারকে তাদের চাহিদামতো বাজার পৌঁছে দিয়েছি আমরা। ডিউটি অফিসারের মোবাইল নাম্বারে ফোন করে তাদের চাহিদা জানালে আমাদের অফিসাররা সুপারশপ বাস্কেট থেকে তা সংগ্রহ করে বিলের কপিসহ তা পৌঁছে দিচ্ছেন।
ডবলমুরিং থানার পক্ষ থেকে গরীব অসহায় মানুষের জন্য চাল, ডালসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য দিয়ে সহায়তা করা হচ্ছে।
শনিবার সকালে এক অসহায় নারীকে এ সেবা দেওয়া হয়েছে বলে বাংলানিউজকে জানান ডবলমুরিং থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. জহির হোসেন।
তিনি বলেন, আমরাও হোম সার্ভিস চালু করেছি। স্থানীয়দের মাইকিং করে জানানো হয়েছে। থানার ডিউটি অফিসারের নাম্বারে ফোন করে অর্ডার করলে বাজার সংগ্রহ করে তা পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।
সিএমপির উপ-কমিশনার (উত্তর) বিজয় বসাক বাংলানিউজকে বলেন, করোনার সংক্রমণ রোধে মানুষকে ঘরে রাখতে নানা কৌশল গ্রহণ করছি। আমরা ‘স্টে হোম’ কার্যক্রম চালু করেছি। যারা ঘর থেকে বের হচ্ছেন না, তাদের চাহিদামতো নিত্যপ্রয়োজনীয় বাজার পৌঁছে দিচ্ছে পুলিশ সদস্যরা।
বিজয় বসাক বলেন, আমরা চাই করোনার সংক্রমণ যাতে রোধ করা যায়। সেজন্য সবাইকে ঘরে অবস্থান করা জরুরি।
সিএমপির উপ-কমিশনার (পশ্চিম) মো. ফারুক উল হক বাংলানিউজকে বলেন, কমিশনার স্যারের নির্দেশে আমরা কাজ করছি। মানুষ যাতে যার যার বাসায় অবস্থান করেন সেজন্য আমরা বাজার নিয়ে ‘হোম সার্ভিস’ দিচ্ছি। আমরা স্থানীয়দের বিষয়টি জানাচ্ছি।
তিনি বলেন, যাদের খুব বেশি প্রয়োজন তারা যাতে পুলিশের এ সহায়তা নেন। আমরা চাই সবাই নিরাপদ থাকুক।
এছাড়া পশ্চিম জোনের সব থানায় স্থানীয় গরীব ও অসহায় মানুষকে চালসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য বিতরণ করা হচ্ছে বলে জানান ডিসি মো. ফারুক উল হক।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪০ ঘণ্টা, মার্চ ২৮, ২০২০
এসকে/এসি/টিসি