এদিকে গণপরিবহন বন্ধ থাকায় উবার, পাঠাও, সহজ রাউডের মতো মোটরসাইকেলের ব্যবহার বাড়ায় ডিজেল, অকটেনের ব্যবহার বেড়েছে। এতে ভিড় বাড়ছে বিভিন্ন পেট্রলপাম্পে।
বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড চট্টগ্রাম দক্ষিণ অঞ্চল ও কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের সূত্র মতে, চট্টগ্রামে প্রায় ৮ লাখ বিদ্যুতের গ্রাহক রয়েছেন।
এ ছাড়া চট্টগ্রামে গ্যাসের গ্রাহক প্রায় ৬ লাখ। এর মধ্যে আবাসিক গ্রাহকের সংখ্যা ৫ লাখ ৮০ হাজারের বেশি। বাকিগুলো শিল্পখাত পর্যায়ের গ্রাহক। গ্যাসের চাহিদা রয়েছে ৫০০ মিলিয়ন ঘনফুট। এর মধ্যে শিল্পখাত পর্যায়ে চাহিদা রয়েছে ২৫০ মিলিয়ন ঘনফুটের বেশি। ২২৪ মিলিয়ন ঘনফুট আবাসিক পর্যায়ে গ্যাসের চাহিদা।
কিন্তু করোনা ভাইরাসের কারণে বর্তমানে বেশিরভাগ শিল্পপ্রতিষ্ঠান ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় বিদ্যুৎ ও গ্যাসের চাহিদা দু’টিই কমেছে। এছাড়া ২ শতাধিক সিএনজি স্টেশনে গ্যাসের ব্যবহার কমেছে।
দুই প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গত এক সপ্তাহে প্রায় ২০ ভাগ ব্যবহার কমেছে। এ অনুপাত দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী খায়েজ আহমেদ মজুমদার বাংলানিউজকে বলেন, করোনা ভাইরাসের কারণে বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় গ্যাসের ব্যবহার দিন দিন কমছে। বড় বড় শিল্পকারখানা বন্ধ হলে এ হার আরও কমবে।
পিডিবি চট্টগ্রাম দক্ষিণ অঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী মো. শামছুল আলম বাংলানিউজকে বলেন, এখন সবাই ঘরের মধ্যে দিনযাপন করছেন। অনেকে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখেছেন। বড় বড় মার্কেটও বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এ জন্য বিদ্যুতের ব্যবহার কমেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫০ ঘণ্টা, মার্চ ২৫, ২০২০
জেইউ/টিসি