ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

লাখো শ্রমিকের চলাফেরায় উদ্বেগ স্থানীয়দের

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০৯ ঘণ্টা, মার্চ ২৩, ২০২০
লাখো শ্রমিকের চলাফেরায় উদ্বেগ স্থানীয়দের সিইপিজেডের শ্রমিকদের চলাফেরায় উদ্বেগ স্থানীয় লোকজনের মধ্যে। ছবি: সোহেল সরওয়ার

চট্টগ্রাম: লাখো শ্রমিক। কারও মুখে মাস্ক আছে, কারও নেই। সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে প্রতিদিন তারা কর্মস্থলে ঢোকেন, ছুটি শেষে ডরমেটরি, বাসা-বাড়িতে ফেরেন। অনেকেই কারখানার নিজস্ব পরিবহনে গাদাগাদি করে কিংবা গণপরিবহনে চড়ে গন্তব্যে পৌঁছেন।

এটি চট্টগ্রাম রফতানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকার (সিইপিজেড) প্রতিদিনের চিত্র।  

করোনাভাইরাস প্রতিরোধে যখন দেশজুড়ে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নেওয়া হয়েছে, ২৬ মার্চ থেকে ঘোষিত হয়েছে ১০ দিনের সরকারি ছুটি তখন সিইপিজেডের কারখানাগুলোকেও এর আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন ইপিজেড থানা এলাকার মানুষ।

৩৯ নম্বর দক্ষিণ হালিশহর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জিয়াউল হক সুমন বাংলানিউজকে বলেন, স্থানীয় লোকজনের মধ্যে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সচেতনতা তৈরি হয়েছে। তারা চান সিইপিজেডসহ আশপাশের পোশাক কারখানাগুলো ছুটি দেওয়া হোক।

কিন্তু এটি একটি বিশেষায়িত শিল্পাঞ্চল, শতভাগ রফতানিমুখী কারখানাগুলো সিইপিজেডে। সরকারের উচ্চ পর্যায়ের সিদ্ধান্ত ছাড়া বন্ধ করার সুযোগ নেই।

কারখানার নিজস্ব পরিবহনে গাদাগাদি করে কিংবা গণপরিবহনে চড়ে গন্তব্যে পৌঁছেন শ্রমিকেরা। তিনি বলেন, আমরা ৭-৮ দিন ধরে প্রতিদিন ৫০০ থেকে ১ হাজার মাস্ক তৈরি করে বিতরণ করছি এলাকায়। কিন্তু এটা অপ্রতুল।

একজন কারখানা মালিক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বাংলানিউজকে বলেন, করোনাভাইরাস প্রতিরোধে বেপজা’র নির্দেশনা অনুযায়ী সিইপিজেডের প্রতিটি কারখানায় শ্রমিকদের হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে হাত জীবাণুমুক্ত করেই ঢোকানো হচ্ছে। ইতিমধ্যে অনেক কারখানায় শ্রমিকের উপস্থিতি কমে গেছে। জরুরি রফতানিপণ্য তৈরি অব্যাহত রাখতেই কারখানাগুলো খোলা রাখা হয়েছে।

চট্টগ্রাম ইপিজেডের মহাব্যবস্থাপক মো. খুরশিদ আলম  বাংলানিউজকে বলেন, সিইপিজেডে ১৫৮টি কারখানায় ২ লাখ শ্রমিক নিয়োজিত আছেন। প্রতিটি কারখানায় হ্যান্ড স্যানিটাইজারসহ করোনাভাইরাস প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এসব বিষয় আমরা মনিটরিং করছি।

ছুটি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সরকারের উচ্চ পর্যায়ের সিদ্ধান্তের আলোকে সিইপিজেডের কারখানাগুলো পরিচালিত হয়ে থাকে। করোনাভাইরাস মোকাবেলায় সারাদেশে বেপজার অধীন কারখানাগুলোতে ছুটি ঘোষিত হলে সিইপিজেডেও হবে।

সিইপিজেডের বাইরে স্টিলমিল এলাকায় কর্ণফুলী ইপিজেডে অর্ধশতাধিক কারখানায় আরও ৮৫ হাজার শ্রমিক কাজ করেন। তারাও পতেঙ্গা, বন্দরটিলা এলাকায় বসবাস করেন।  

বাংলাদেশ সময়: ১৯০৫ ঘণ্টা, মার্চ ২৩, ২০২০
এআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।