এটি চট্টগ্রাম রফতানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকার (সিইপিজেড) প্রতিদিনের চিত্র।
করোনাভাইরাস প্রতিরোধে যখন দেশজুড়ে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নেওয়া হয়েছে, ২৬ মার্চ থেকে ঘোষিত হয়েছে ১০ দিনের সরকারি ছুটি তখন সিইপিজেডের কারখানাগুলোকেও এর আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন ইপিজেড থানা এলাকার মানুষ।
৩৯ নম্বর দক্ষিণ হালিশহর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জিয়াউল হক সুমন বাংলানিউজকে বলেন, স্থানীয় লোকজনের মধ্যে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সচেতনতা তৈরি হয়েছে। তারা চান সিইপিজেডসহ আশপাশের পোশাক কারখানাগুলো ছুটি দেওয়া হোক।
তিনি বলেন, আমরা ৭-৮ দিন ধরে প্রতিদিন ৫০০ থেকে ১ হাজার মাস্ক তৈরি করে বিতরণ করছি এলাকায়। কিন্তু এটা অপ্রতুল।
একজন কারখানা মালিক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বাংলানিউজকে বলেন, করোনাভাইরাস প্রতিরোধে বেপজা’র নির্দেশনা অনুযায়ী সিইপিজেডের প্রতিটি কারখানায় শ্রমিকদের হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে হাত জীবাণুমুক্ত করেই ঢোকানো হচ্ছে। ইতিমধ্যে অনেক কারখানায় শ্রমিকের উপস্থিতি কমে গেছে। জরুরি রফতানিপণ্য তৈরি অব্যাহত রাখতেই কারখানাগুলো খোলা রাখা হয়েছে।
চট্টগ্রাম ইপিজেডের মহাব্যবস্থাপক মো. খুরশিদ আলম বাংলানিউজকে বলেন, সিইপিজেডে ১৫৮টি কারখানায় ২ লাখ শ্রমিক নিয়োজিত আছেন। প্রতিটি কারখানায় হ্যান্ড স্যানিটাইজারসহ করোনাভাইরাস প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এসব বিষয় আমরা মনিটরিং করছি।
ছুটি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সরকারের উচ্চ পর্যায়ের সিদ্ধান্তের আলোকে সিইপিজেডের কারখানাগুলো পরিচালিত হয়ে থাকে। করোনাভাইরাস মোকাবেলায় সারাদেশে বেপজার অধীন কারখানাগুলোতে ছুটি ঘোষিত হলে সিইপিজেডেও হবে।
সিইপিজেডের বাইরে স্টিলমিল এলাকায় কর্ণফুলী ইপিজেডে অর্ধশতাধিক কারখানায় আরও ৮৫ হাজার শ্রমিক কাজ করেন। তারাও পতেঙ্গা, বন্দরটিলা এলাকায় বসবাস করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৫ ঘণ্টা, মার্চ ২৩, ২০২০
এআর/টিসি