ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

কাউন্সিলরের মাধ্যমে বিদেশফেরত চিহ্নিত করার আহ্বান সুজনের

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১৮ ঘণ্টা, মার্চ ২২, ২০২০
কাউন্সিলরের মাধ্যমে বিদেশফেরত চিহ্নিত করার আহ্বান সুজনের মেয়র আ জ ম নাছিরের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন খোরশেদ আলম সুজন

চট্টগ্রাম: করোনাভাইরাস প্রতিরোধে স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলরের মাধ্যমে প্রতিটি ওয়ার্ডের বিদেশফেরত যাত্রীদের চিহ্নিত করে প্রশাসনের সহায়তায় হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার ব্যবস্থা করার আহ্বান জানিয়েছেন খোরশেদ আলম সুজন।  

রোববার (২২ মার্চ) মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে জনদুর্ভোগ লাঘবে জনতার ঐক্য চাই শীর্ষক নাগরিক উদ্যোগের প্রধান উপদেষ্টা ও নগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সুজন এ আহ্বান জানান।

সুজন বলেন, সারাবিশ্বে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাস নিয়ে আমরা চট্টগ্রামের মানুষ খুবই উদ্বিগ্ন।

চট্টগ্রামও ঝুঁকির বাইরে নয়। দ্রুত ছড়িয়ে পড়া এ ভাইরাসের প্রতিষেধক হিসেবে এখনো স্বীকৃত কোনো ভ্যাকসিন আবিষ্কার না হওয়ায় এর প্রতিরোধও সম্ভব হচ্ছে না।
ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ ভাইরাস থেকে দেশের জনগণকে রক্ষার জন্য বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছেন। তিনি দেশের মানুষকে আতঙ্কিত না হয়ে জনসমাগম এড়িয়ে চলতে নির্দেশনা দিয়েছেন। এছাড়া এ ভাইরাস থেকে মুক্তি পেতে চিকিৎসকরা সচেতনতার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন। তাই আমরা চট্টগ্রামের মানুষও এ ভাইরাস থেকে মুক্তি পেতে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) কার্যকর দিকনির্দেশনা প্রত্যাশা করছি।

এ ছাড়া করোনাভাইরাসকে কেন্দ্র করে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার ওপর গুরুত্বারোপ করে সুজন প্রতিদিন দুই বেলা ময়লা আবর্জনা অপসারণ করার জন্য চসিক মেয়রের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন এবং ময়লা আবর্জনা অপসারণ করে যাতে দুর্গন্ধ না ছড়ায় সেজন্য নিয়মিত ব্লিচিং পাউডার ছিটানোর আহ্বান জানান। তাছাড়া ময়লা আবর্জনা পরিবহনকালে যেন ত্রিপল ব্যবহার করা হয় সেদিকে দৃষ্টি দেওয়ার অনুরোধ জানান।

তিনি বাজারের মাছ, মাংস বিক্রেতা এবং মাছ কাটার সঙ্গে নিয়োজিত ব্যক্তিদের হ্যান্ড গ্লাভস পরিধান করতে উৎসাহিত করার আহ্বান জানান।

মেয়র বলেন, আমিও এ শহরের বাসিন্দা। এ নগরীর যেকোন দুর্যোগ কিংবা বিপর্যয়ে নগরবাসীর সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করতে আমি প্রস্তুত। তা ছাড়া নগরবাসীর নাগরিক সুবিধা এবং স্বাস্থ্য সচেতনতা নিশ্চিত করাই আমার অন্যতম দায়িত্ব। সে দায়িত্ব পালনে আমি সদা সচেষ্ট আছি। করপোরেশনের সীমিত সাধ্য দিয়ে নগরবাসীর সর্বোচ্চ সেবা দিতে আমি বদ্ধপরিকর।

করোনাভাইরাস নিয়ে চসিকই প্রথমেই জনগণের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টি করেছে উল্লেখ করে মেয়র বলেন, নগরবাসীকে অধিকতর সচেতন হতে হবে। বারবার সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে। নিজের আঙিনা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। জনসমাগম এড়িয়ে চলতে হবে। একমাত্র সচেতনতাই পারে এ ভাইরাস থেকে মুক্তি দিতে।

এখন জ্বর, সর্দি, কাশির সময় উল্লেখ করে মেয়র করোনাভাইরাস আতঙ্কে নগরবাসী যেন জ্বর, সর্দি, কাশির চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে চসিকের চিকিৎসকসহ নগরের সরকারি, বেসরকারি হাসপাতালের সব চিকিৎসকের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

তিনি যেকোনো দুর্যোগ কিংবা ভোগান্তিতে চসিকের হটলাইন নাম্বারে (১৬১০৪) যোগাযোগ করতে নগরবাসীর প্রতি আহ্বান জানান।

বাংলাদেশ সময়: ২১১৩ ঘণ্টা, মার্চ ২২, ২০২০
এআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।