শুক্রবার (২১ মার্চ) বিকেলে পরিচালিত এসব অভিযানে জেলা প্রশাসনের ৪জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নেতৃত্ব দেন।
নগরের চাক্তাই, খাতুনগঞ্জ, কাজীর দেউড়ি বাজার এবং সিডিএ মার্কেটে পরিচালিত অভিযানে নেতৃত্ব দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. তৌহিদুল ইসলাম।
তিনি বাংলানিউজকে জানান, ভোগ্যপণ্যের পাইকারি বাজার চাক্তাই খাতুনগঞ্জের প্রায় ২০০ আড়তে অভিযান চালিয়েছি আমরা। সেখানে চাল, ডাল, পেঁয়াজসহ প্রচুর ভোগ্যপণ্য মজুদ আছে।
মো. তৌহিদুল ইসলাম জানান, কাজীর দেউড়ি এবং সিডিএ মার্কেটসহ খুচরো বাজারে করোনার প্রভাবে ভোক্তারা অতিরিক্ত পণ্য কিনছেন। সিডিএ মার্কেটে একজন ভোক্তা ১ বস্তা চিনি কেনার প্রমাণও পেয়েছি আমরা। যার সুযোগ নিচ্ছেন অসাধু ব্যবসায়ীরা। পণ্যের দাম বেশি নিচ্ছেন।
‘চট্টগ্রামের পাইকারি বাজারে প্রচুর ভোগ্যপণ্য মজুদ আছে। খুচরো বাজারে বেশি দামে পণ্য বিক্রি ঠেকাতে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। ভোক্তাদের প্রতি আমাদের অনুরোধ- প্লিজ বাসা-বাড়িকে মিনি সুপারশপ বানাবেন না। যতটুকু প্রয়োজন ঠিক ততটুকু পণ্য কিনুন। ’ যোগ করেন তিনি।
এদিকে নগরের রিয়াজ উদ্দিন বাজারে পরিচালিত অভিযানে নেতৃত্ব দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মামনুন আহমেদ অনীক।
তিনি বাংলানিউজকে জানান, মূল্যতালিকা না রাখা এবং বেশি দামে পণ্য বিক্রির দায়ে রিয়াজ উদ্দিন বাজারের ৪ দোকানিকে ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
নগরের ২ নম্বর গেট কাঁচা বাজারে পরিচালিত অভিযানে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. উমর ফারুক নেতৃত্ব দেন। তিনি বেশি দামে চাল, পেঁয়াজ-রসুন বিক্রির দায়ে ৪ দোকানিকে ৪৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
নগরের পাহাড়তলী ও আগ্রাবাদ কাঁচা বাজারে পরিচালিত অভিযানে নেতৃত্ব দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট গালিব চৌধুরী। তিনি বেশি দামে চাল বিক্রি এবং মূল্যতালিকা না রাখায় ৪ দোকানিকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩৩ ঘণ্টা, মার্চ ২১, ২০২০
এমআর/টিসি