ঢাকা, বুধবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

রেজাউল-শাহাদাত একে অপরকে মাস্ক পরালেন

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭২৯ ঘণ্টা, মার্চ ১৯, ২০২০
রেজাউল-শাহাদাত একে অপরকে মাস্ক পরালেন রেজাউল-শাহাদাত একে অপরকে মাস্ক পরালেন

চট্টগ্রাম: করোনাভাইরাসের কারণে বিভিন্ন মহল থেকে দাবি উঠেছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচন স্থগিতের। এ অবস্থান নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে প্রধান দুই মেয়র প্রার্থী আওয়ামী লীগের এম রেজাউল করিম চৌধুরী ও বিএনপির ডা. শাহাদাত হোসেন একে অপরকে মাস্ক পরিয়ে দিয়ে।

বৃহস্পতিবার (১৯ মার্চ) চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে গণমাধ্যম ও গবেষণা কেন্দ্র নান্দনিক আয়োজিত ‘আমাদের নগর আমাদের ভাবনা’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে অংশ নেন তারা। অনুষ্ঠান শেষে ডা. শাহাদাত মাস্ক নিয়ে রেজাউল করিম চৌধুরীর মুখে পরিয়ে দেন।

এরপর রেজাউল করিম চৌধুরীও আরেকটি মাস্ক ডা. শাহাদাতকে পরিয়ে দেন।

ঘটনাস্থলে উপস্থিত বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের ডেপুটি গভর্নর আমিনুল হক বাবু বাংলানিউজকে বলেন, আলোচনা শেষে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী এম রেজাউল করিম চৌধুরী চলে যাওয়ার সময় বঙ্গবন্ধু হলের ভেতরেই ডা. শাহাদাত হোসেন একটি মাস্ক পরিয়ে দেন।

এর আগে ড্যাবের করোনাভাইরাস নিয়ে সচেতনতামূলক কর্মসূচিতে বিতরণের জন্য মাস্কগুলো এনেছিলেন ডা. শাহাদাতের লোকজন। ঘটনার আকস্মিকতায় সবাই হাততালি দিয়ে ওঠেন। পরক্ষণেই আরেকটি মাস্ক বিএনপির প্রার্থীর মুখে পরিয়ে দেন রেজাউল করিম চৌধুরী।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কাউন্সিলর প্রার্থী শৈবাল দাশ সুমন, মোবারক আলী, আব্দুল কাদের, আব্দুল মান্নান, সাদার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রোভাইস চ্যান্সেলর ইঞ্জিনিয়ার আলী আশরাফ, সমাজকর্মী জেসমিন সুলতানা পারু, সাহেলা আবেদীন, রোটারি ক্লাব অব ইসলামাবাদের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার এমএ হান্নান, মানবাধিকারকর্মী আমিনুল হক বাবু, মো. হাবিবুল্লাহ, ডা. লুসি খান প্রমুখ।

নান্দনিক’র প্রধান নির্বাহী তাজুল ইসলামের স্বাগত বক্তব্যের পর নগর উন্নয়ন ও যোগাযোগ বিষয়ে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এসএস ট্রেডিংয়ের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেন। চট্টগ্রামে নৌপথে যোগাযোগের নানা দিক, সংকট ও সম্ভাবনার কথা তুলে ধরেন তিনি।

আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, সিটি করপোরেশন হলো ঐক্যবদ্ধভাবে সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় কাজ করার জায়গা। এটি নিশ্চিত করা গেলে নগরের উন্নয়নে তেমন বাধা আসবে না। চট্টগ্রামে একসময় অনেক পাহাড় ছিলো সেগুলো ধ্বংস করা হয়েছে, নদীপথ ছিলো সেগুলো দখল করা হয়েছে। আইন আছে কিন্তু আইনের প্রয়োগ নেই।

বিএনপির প্রার্থী ডা.শাহাদাত হোসেন বলেন, নির্বাচিত প্রতিনিধিকে ঠিকমতো কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে কিনা সেটা দেখতে হবে। সিটি গভর্নেন্সের ধারণা খুব ভালো, ভবিষ্যতে সেদিকেই আমাদের যেতে হবে। একসময় বাকলিয়াসহ নগরের বিভিন্ন এলাকা ঘেঁষে অনেক খাল ছিলো। ধীরে ধীরে তা হারিয়ে গেছে, সেগুলো উদ্ধারে কাজ করতে হবে।

ইঞ্জিনিয়ার আলী আশরাফ বলেন, নদীপথের সম্প্রসারণ ও এর যথাযথ ব্যবহার এখন সময়ের দাবি। সেবা সংস্থাগুলোর সমন্বয়ের মাধ্যমে কাজ করার ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। না হলে নগরে কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন সম্ভব হবে না।

প্রেস ক্লাব সভাপতি আলী আব্বাস বলেন, সাংবাদিকরা সব সময় নগরের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে সংবাদ প্রচার করছেন। এতে সরকার ও স্থানীয় পর্যায়ের নেতৃত্ব তাদের করণীয় সম্পর্কেও ভালো ধারণা পাচ্ছেন। এ ধারা অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ১৭২০ ঘণ্টা, মার্চ ১৯, ২০২০
এআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।