বুধবার (১১ মার্চ) দুইটি কনটেইনারে কায়িক পরীক্ষা শেষে বিপুল পরিমাণ শুল্কফাঁকির বিষয়টি নিশ্চিত হন কাস্টমসের অডিট ইনভেস্টিগেশন অ্যান্ড রিসার্চ (এআইআর) শাখার কর্মকর্তারা।
এআইআর শাখার দায়িত্বে থাকা সহকারী কমিশনার নূর এ হাসনা সানজিদা অনসুয়া বাংলানিউজকে জানান, ঢাকার মতিঝিলের সামিট ট্রেডিং ইন্টারন্যাশনালের নামে চট্টগ্রাম বন্দরে আসা ৪০ ফুট দীর্ঘ একটি কনটেইনারের আইজিএমে ঘোষিত পণ্য ছিলো ‘সুইট কর্ন অ্যান্ড অলিভ’।
তিনি বলেন, প্রাথমিক হিসাবে এ চালানে প্রাপ্ত পণ্যের ৫৬ লাখ টাকার শুল্ক আসে। এর সঙ্গে মিথ্যা ঘোষণার জরিমানা যোগ হলে দাঁড়ায় প্রায় ৭০ লাখ টাকা। কিন্তু আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান চালানটি খালাসে কাস্টম হাউসে বিল অব এন্ট্রি দাখিল করেনি।
এদিকে আরেকটি ৪০ ফুট দীর্ঘ কনটেইনারে সুইট কর্ন ঘোষণা থাকলেও পাওয়া গেছে ‘ল্যাকটোজেন’ ব্রান্ডের শিশুখাদ্য। কায়িক পরীক্ষায় এ কনটেইনারে পাওয়া গেছে ২ হাজার কার্টনে ২১ হাজার ৬০০ কেজি ল্যাকটোজেন বেবি মিল্ক পাউডার। এ চালানেরও বিল অব এন্ট্রি জমা পড়েনি। এ চালানে শুল্ক ফাঁকির পরিমাণ প্রায় ৬৫ লাখ টাকা।
দুইটি চালানের বিষয়ে কাস্টম আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানান সহকারী কমিশনার নূর এ হাসনা সানজিদা অনসুয়া।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৫ ঘণ্টা, মার্চ ১১, ২০২০
এআর/টিসি