ঢাকা, শনিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বই পড়ে পুরস্কার জিতলো ৫১২৫ শিক্ষার্থী

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৪২ ঘণ্টা, মার্চ ৬, ২০২০
বই পড়ে পুরস্কার জিতলো ৫১২৫ শিক্ষার্থী চট্টগ্রামে বই পড়ে পুরস্কার জিতলো ৫১২৫ শিক্ষার্থী। ছবি: বাংলানিউজ

চট্টগ্রাম: বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র পরিচালিত স্কুল শিক্ষার্থীদের বইপড়া কর্মসূচির আওতায় ২০১৯ শিক্ষাবর্ষে নগরের ৯৩ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ৫ হাজার ১২৫ শিক্ষার্থীকে বই পড়ার জন্য গ্রামীণফোনের সহযোগিতায় পুরস্কার দিয়েছে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র। স্বাগত, শুভেচ্ছা, অভিনন্দন ও সেরা পাঠক পুরস্কার পেয়েছে তারা।

শুক্রবার (৬ মার্চ) চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন মিউনিসিপ্যাল মডেল হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে এ পুরস্কার বিতরণ উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।

প্রথম পর্বে ৪৬টি স্কুলের ২ হাজার ৪৮৩ জন শিক্ষার্থী ও দ্বিতীয় পর্বে ৪৭টি স্কুলের ২ হাজার ৬৪২ জন শিক্ষার্থী পুরস্কার পেয়েছে।

এর মধ্যে স্বাগত পুরস্কার পেয়েছে ২ হাজার ৫০২ জন, শুভেচ্ছা পুরস্কার পেয়েছে ১ হাজার ৫১৩ জন, অভিনন্দন পুরস্কার পেয়েছে ৮৮১ জন এবং সেরা পাঠক পুরস্কার পেয়েছে ২২৯ জন। সেরা পাঠক পুরস্কার বিজয়ী ২২৯ জনের মধ্যে লটারির মাধ্যমে ২৩ জনকে দেওয়া হয় ২ হাজার টাকা সমমূল্যের বইয়ের একটি করে বিশেষ পুরস্কার।
এ ছাড়াও লটারির মাধ্যমে ৪ জন অভিভাবককেও একই ধরনের বিশেষ উপহার দেওয়া হয়েছে।

উৎসবে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন।

অতিথি ছিলেন কবি-সাংবাদিক আবুল মোমেন, স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের উপাচার্য প্রফেসর মোহাম্মদ আলী নকী, কথাসাহিত্যিক ও গবেষক খন্দকার স্বনন শাহরিয়ার, চসিকের শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি নাজমুল হক ডিউক, গ্রামীণফোনের জেনারেল ম্যানেজার সাসটেইনেবিলিটি ফারজানা রহমান, সার্কেল বিজনেস হেড মোহাম্মদ শরীফ মাহমুদ খান, মিউনিসিপ্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রভাষক মো. আব্দুল হক, চট্টগ্রাম মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের সচিব প্রফেসর আবদুল আলীম।

বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের বই পড়া প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে অতিথিরামেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন পুরস্কারপ্রাপ্ত শিক্ষার্থী তাদের অভিভাবক ও শিক্ষকদের অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, মুজিববর্ষে এ পুরস্কার বিতরণ একটা মাইলফলক। শুধু একাডেমিক বই পড়লে চলবে না এর পাশাপাশি সাহিত্যের অন্যান্য শাখার বইও পড়তে হবে। কারণ বই পড়লে আলোকিত মানুষ হওয়া যায়। বইয়ের জ্ঞান কাজে লাগিয়ে দেশকে উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করতে হবে। যাতে জাতির পিতার স্বপ্ন পূরণ হয়।

আবুল মোমেন বলেন, আমি দেখতে পাচ্ছি আমার চোখের সামনে অনেক অনেক ভবিষ্যৎ। আর এই ভবিষ্যৎ তোমরা। আমাদের এই দেশকে বিনির্মাণে পড়ার টেবিলে শুধু পাঠ্যবই পড়লে হবে না এর বাইরে সৃজন ও মননশীল বইও পড়তে হবে, নতুন নতুন জ্ঞান অর্জন করতে হবে। তোমরাই আগামী দিনে দেশকে সমৃদ্ধ করবে।

গ্রামীণফোনের চট্টগ্রাম সার্কেলের বিজনেস হেড মোহাম্মদ শরীফ মাহমুদ খান পুরস্কারপ্রাপ্ত ছাত্রছাত্রীদের অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, নিজেকে বা দেশকে উন্নত করার জন্য বই পড়ার কোনো বিকল্প নেই।

বক্তব্য দেন মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন।  ছবি: বাংলানিউজফারজানা রহমান বলেন, বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের বইপড়া কার্যক্রমের সঙ্গে গ্রামীণফোন যুক্ত থাকতে পেরে গর্বিত। পুরস্কারপ্রাপ্ত ছাত্রছাত্রীদের অভিনন্দন জানিয়ে তিনি বলেন, সবার জন্য চমৎকার সব বইয়ের একটি ই-লাইব্রেরি তৈরি করেছে গ্রামীণফোন এবং বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র যৌথ উদ্যোগে। আগ্রহী পাঠক পছন্দের বই পড়তে পারবেন ই-লাইব্রেরি www.alorpathshala.org ঠিকানায়।

অধ্যাপক আবদুল আলীম বলেন, বই মানুষের মনের জগত বিকাশে সহায়তা করে। বইপড়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে পারলে জীবনে সার্বিক উন্নয়ন অনেকটাই সহজতর হয়। মুজিববর্ষে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের এ বইপড়া কর্মসূচি ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে এবং মুজিববর্ষ সফল হবে।

মোমবাতি প্রজ্বালন ও ‘আগুনের পরশ মণি ছোঁয়াও প্রাণে’ গানের সুরে দিনব্যাপী অনুষ্ঠান শেষ হয়। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের যুগ্ম পরিচালক (প্রোগ্রাম) মেসবাহ উদ্দিন আহমেদ সুমন।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৫ ঘণ্টা, মার্চ ০৬, ২০২০
এআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।