শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) রাতে নগরের ডবলমুরিং থানায় কাউন্সিলর সাবের আহম্মদ, তার ছেলে ফারুক আহম্মদ অপুসহ ১২ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা ৪০-৫০ জনকে আসামি করে এ মামলা করা হয় বলে বাংলানিউজকে জানিয়েছেন ডবলমুরিং থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জহির হোসেন।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন, জাহিদুল আলম মুরাদ, রনি, জনি, টিংকু, তারেক, আরাফাত রহমান ওরফে বিজয়, সামিউল আলম সাবিত, সাইফুল ইসলাম, রবিউল হক ইকু এবং নিজাম উদ্দিন মুন্না।
মামলার এজহারে বাদি মো. নুরুল আমিন উল্লেখ করেন, ১২ নম্বর সরাইপাড়া ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগ সমর্থিত কাউন্সিলর হিসেবে দলীয় মনোনয়ন পেয়ে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে আসছিলাম। এরই ধারাবাহিকতায় ঝর্নাপাড়া রহিম সওদাগরের বাড়ির ভেতর একটি সভার আয়োজন করি।
বাদি আরও উল্লেখ করেন, সভায় কাউন্সিলর সাবের আহম্মদের নির্দেশে তার ছেলে ফারুক আহম্মদ অপুর নেতৃত্বে লাঠিসোটা নিয়ে হামলা চালানো হয়। এতে আমার কর্মী মিজানুর রহমান খোকন, নুরুল আজিম, নুরুল এহসান রিফাত, নাহিদ, আবদুল কাদের সুজন গুরুতর আহত হয়। তারা আমাকে ও আমার সমর্থকদের ওপরও হামলা করে এবং গাড়ি ভাংচুর করে।
মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ১৪৩, ৪৪৭, ৩২৩, ৩০৭, ৩২৫, ৪২৭, ১০৯ ও ৫০৬ ধারায় অভিযোগ করেছেন বাদি নুরুল আমিন।
প্রসঙ্গত, আওয়ামী লীগের সমর্থন নিয়ে গত সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সরাইপাড়া ওয়ার্ড থেকে কাউন্সিলর হওয়া সাবের আহম্মদ এবার আওয়ামী লীগের সমর্থন পাননি।
নানা কারণে বিতর্কিত সাবেরকে বাদ দিয়ে এবার দলের ওয়ার্ড কমিটির আহ্বায়ক মো. নুরুল আমিনকে সমর্থন দিয়েছে আওয়ামী লীগ। তবে দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে সাবের আহম্মদও বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৯, ২০২০
এসকে/টিসি