ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

মাহাথির মোহাম্মদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন সুফি মিজানুর রহমান

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০২০
মাহাথির মোহাম্মদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন সুফি মিজানুর রহমান

ঢাকা: সম্প্রতি সমাজসেবায় অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিতে একুশে পদকে ভূষিত হয়েছেন পিএইচপি গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান সুফি মিজানুর রহমান। এরই মধ্যে মালয়েশিয়ার অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী ড. মাহাথির মোহাম্মদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন সফল এ শিল্পোদ্যোক্তা। 

বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) নিজের ছেলে এবং গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ইকবাল হোসেন চৌধুরীকে সঙ্গে নিয়ে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তিনি।

সাক্ষাৎকালে দুই বছর ধরে মালয়েশিয়ার প্রোটন গাড়ি বাংলাদেশে যৌথভাবে সংযোজনের বিষয়ে অগ্রগতি সম্পর্কে আলোচনা হয়।

বর্তমানে পিএইচপি অটোমোবাইলসে দৈনিক ২০০ প্রোটন ব্রান্ডের ৩টি মডেলের গাড়ি সংযোজিত হচ্ছে।  

এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে এবারের একুশে পদক গ্রহণ করেন সুফি মিজানুর রহমান।

তিনি প্রজ্ঞাময় ও দূরদৃষ্টি সম্পন্ন সফল শিল্পোদ্যোক্তা। এ জন্য ইতোপূর্বে তিনি ‘বিজনেস পারসন অব দ্য ইয়ার’, ‘প্রাইড অব চিটাগং’, ‘করপোরেট সোশ্যাল রেসপনসিবিলিটি অ্যাওয়ার্ড’, ‘সেন্ট মাদার তেরেসা আন্তর্জাতিক অ্যাওয়ার্ড’সহ অসংখ্য পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন।

সূত্র জানায়, প্রোটনের চেয়ারম্যান ড. মাহাথির বিন মোহাম্মদের সঙ্গে ২০১৩ সালে মালয়েশিয়ার একটি অনুষ্ঠানে পিএইচপি ফ্যামিলির চেয়ারম্যানের সঙ্গে পরিচয় হয়। মাত্র ১০ মিনিটের সাক্ষাতে ড. মাহাথির বুঝতে পেরেছিলেন সুফি মিজান কোনো সাধারণ মানুষ নন, তার মধ্যকার ক্যারিশমা ড. মাহাথির অনুধাবন করতে পেরেছিলেন। এ পরিচয়ের সুবাদে পিএইচপি ফ্যামিলির চেয়ারম্যান ২০১৪ সালে ইউআইটিএস’র দ্বিতীয় সমাবর্তনে ড. মাহাথিরকে প্রধান অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ জানালে তিনি বাংলাদেশে আসেন। এ সময় সুফি মিজানুর রহমানের আতিথেয়তায় মুগ্ধ হয়ে ড. মাহাথির বলেছিলেন, ‘প্রিয় মিজান, তোমাকে আমি কিছু দিতে চাই। ’ কিন্তু বিনয়ের সঙ্গে সুফি মিজান এড়িয়ে যান।

ওই বছরের শেষদিকে সুফি মিজান মালয়েশিয়া ভ্রমণকালে ড. মাহাথিরের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। এ সময় সুফি মিজানকে ড. মাহাথির গাড়ি প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান প্রোটনের কারখানায় নিয়ে যান এবং বাংলাদেশে প্রোটন গাড়ি বাজারজাত করার প্রস্তাব দেন। সুফি মিজানের স্বপ্ন ছিলো বাংলাদেশের মানুষকে সুলভে নতুন গাড়ি ব্যবহারের সুযোগ করে দেওয়া। তাই তিনি সানন্দে ড. মাহাথিরের প্রস্তাব গ্রহণ করেন। ২০১৫ সালের মাঝামাঝিতে বাংলাদেশে বেসরকারি পর্যায়ে প্রথম গাড়ি সংযোজনকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে পিএইচপি অটোমোবাইলসের পথচলা শুরু হয়।      

বাংলাদেশ সময়: ১৫০৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০২০
টিএ/টিসি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।