রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে মেয়রে দফতরে সাক্ষাৎকালে মেয়র রাষ্ট্রদূতের কাছে বাংলাদেশ ও রাশিয়ার চিরকালীন বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের বিষয় উপস্থাপন করেন।
বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী কর্ণফুলী নদীতে পুঁতে রাখা মাইন অপসারণ কার্যক্রম পরিচালনায় রাশিয়ার সহযোগিতাকে বিশ্ব মানবতার অনন্য দৃষ্টান্ত বলে উল্লেখ করেন।
এ সময় রাশিয়ার রাষ্ট্রদূতের স্ত্রী মিস আলা ইগনাতভ, চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামসুদ্দোহা, চট্টগ্রামে নিযুক্ত রাশিয়ার কনসাল জেনারেল আশিক ইমরান, মেয়রের একান্ত সচিব আবুল হাশেম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
লালদীঘিতে রেডকিন স্মৃতিসৌধ
নগরের লালদীঘির পাড়ে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে নির্মিত হচ্ছে ইউরিস রেডকিন স্মৃতিসৌধ।
এ সময় রাশিয়ান রাষ্ট্রদূতের স্ত্রী, অনারারি কনসুল স্থপতি আশিক ইমরান, চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সামসুদ্দোহা, প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্নেল সোহেল আহমদ, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মফিদুল আলম, সিটি মেয়রের একান্ত সচিব মো. আবুল হাশেম, প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ একেএম রেজাউল করিম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
মেয়র বলেন, মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের পর বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু সোভিয়েত ইউনিয়ন দেশের প্রধান সমুদ্রবন্দর সচল করতে মাইন অপসারণের দায়িত্ব গ্রহণ করে। ১৯৭২ সালের ১৮ ডিসেম্বর মাইন উদ্ধারের মতো অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ কাজটি করতে যান রেডকিন। মাইন বিস্ফোরণে প্রাণ হারান বীর ইউরিস রেডকিন।
এই ইউরিস রেডকিনকে চিরস্মরণীয় রাখার নিমিত্তে লালদীঘিতে রেডকিন স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করা হচ্ছে বলে সিটি মেয়র রাষ্ট্রদূতকে অবহিত করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২০
এআর/টিসি