কিন্তু এতো বইয়ের ভিড়ে যেন তৃপ্তি মিলছে না তার। প্রায় প্রতিটি দোকানেই খুঁজেছেন একটি বই।
আনাছ আবেদিন বাংলানিউজকে বলেন, বইটি বের হওয়ার পর থেকে বেশ উদগ্রীব হয়ে আছি। চট্টগ্রামের বই মেলায় এটি পাবো বলে এসেছিলাম। মানুষটি (বঙ্গবন্ধু) সম্পর্কে জানতে বেশ ইচ্ছে করে। পূর্বে বের হওয়া বইগুলো আমি পড়েছি। বইগুলো পড়তে বসলে কেমন যেন একটি শিহরণ কাজ করে।
শুধু আনাছ আবেদিন নন এমন আরও অনেকে এসেছেন বই মেলায়। যাদের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলো বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে লেখা বই।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে আয়োজিত ২০ দিনব্যাপী এ বইমেলা বেশ জমে উঠেছে। প্রতিদিনই মেলা প্রাঙ্গনে রাখা হয়েছে বিভিন্ন আয়োজন। এতে করে বই মেলার পাশাপাশি সংস্কৃতি চর্চার একটি সুযোগ তৈরি হয়েছে বলে মনে করছেন মেলায় ঘুরতে আসা দর্শনার্থীরা।
এদিকে মেলায় ঘুরতে এসেছেন তরুণ কবি ম্যাকলিন চাকমা। কথা হয় তার সঙ্গে। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, পাহাড়ের চলমান বাস্তবতা, সংস্কৃতি, জুম চাষ বিষয়গুলো আমাকে বেশ টানে। নিজেদের সংস্কৃতি, ভাষা রক্ষার্থে আমি চেষ্টা করি নিজের মত করে লেখালেখি করার।
তিনি বলেন, এর আগে আমার দুটি কাব্যগ্রন্থ দেবংসি (অলৌকিক) ও আচ (ইঙ্গিত) বের হয়েছে। এবারের বিজু উৎসবকে সামনে রেখে আরও একটি কাব্যগ্রন্থ ‘নুও গরি ফাগুন এঝের’(এক নতুন ফাল্গুনের প্রতীক্ষায়) বের হচ্ছে। আমার প্রতিটি কাব্যগ্রন্থই চাকমা ভাষায় লিখেছি। তবে শেষের কাব্যগ্রন্থে বাংলা ও চাকমা ভাষায় ২৩টি করে মোট ৪৬ টি কবিতা রয়েছে।
প্রসঙ্গত, এবারের বইমেলায় ১৩০টি প্রকাশনী এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ২১৫টি স্টল স্থানে পেয়েছে। প্রতিদিন বিকেল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চলছে বইমেলা। শুক্রবার ছুটির দিন সকাল ১০টা থেকে শুরু হবে মেলায় বই বিক্রির উৎসব।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২০
এমএম/টিসি