বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, যিনি দলের প্রতিটি আন্দোলন-সংগ্রামে পাশে ছিলেন, দলের জন্য নিবেদিত প্রাণ এবং দলকে এগিয়ে নিতে যার যোগ্যতা আছে- এমন প্রার্থীকেই আমরা বেছে নিচ্ছি। নেতাকর্মীদের কাছে গ্রহণযোগ্য প্রার্থীকেই মেয়র পদে মনোনয়ন দেওয়া হবে।
বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টায় বাংলানিউজের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
আমীর খসরু বলেন, আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এখনও জেলে।
তিনি বলেন, ঢাকা সিটি করপোরেশন ও চট্টগ্রামের বোয়ালখালী আসনের উপ-নির্বাচন আমরা দেখেছি, সেখানে কারচুপি হয়েছে। এ সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অধীনে কোনো নির্বাচন সুষ্ঠু হবে-এটি আমরা আশা করি না। আমরা ধরে নিয়েছি, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনেও কোনোভাবেই ভোট সুষ্ঠু হবে না। তারপরও আমরা নির্বাচনে যাবো গণতন্ত্রকে সমুন্নত রাখতে।
‘চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে এমন প্রার্থীকে মনোনয়ন দেওয়া হবে, যিনি সবার কাছে গ্রহণযোগ্য। দলের জন্য কাজ করবেন, আন্দোলন-সংগ্রামে ছিলেন এবং আছেন’ বলেন তিনি।
ইতোমধ্যে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী হিসেবে নগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক রেজাউল করিমকে মনোনয়ন দিয়েছে আওয়ামী লীগ।
নগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন, সাধারণ সম্পদক আবুল হাশেম বক্কর, সহ-সভাপতি নিয়াজ মোহাম্মদ খান, সৈয়দ আজম উদ্দীন, সাবেক যুগ্ম সম্পাদক এরশাদ উল্লাহ ও বিএনপি নেত্রী ডা. লুসি খান মেয়র পদে লড়তে দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন।
এদিকে বিএনপির প্রার্থী ঘোষণায় কোনো চমক আশা করেন না নগর বিএনপির নেতারা। তারা জানান, গ্রহণযোগ্য প্রার্থীকে মনোনয়ন না দিলে তারা মানবেন না।
নগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, ‘আমি মেয়র প্রার্থী হতে চাই। কারণ আমি দলের প্রতিটি আন্দোলন-সংগ্রামে ছিলাম এবং আছি। আমাকে মনোনয়ন দিলে, ভোট সুষ্ঠু হলে অবশ্যই আমি জয়ী হবো।
সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর বাংলানিউজকে বলেন, ‘মেয়র প্রার্থী হবো এটি আমার আশা। আশা করছি দল আমাকে মনোনয়ন দেবে। দল এমন কাউকে মনোনয়ন দেবে না, যিনি সুবিধা অনুযায়ী এই আওয়ামী লীগ, এই বিএনপি করে। মনোনয়ন মাঠের কাউকে দিলে আমাদের কোনো আপত্তি নেই’।
বাংলাদেশ সময়: ১২০০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২০
জেইউ/এসি/টিসি