বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মহিউদ্দীন মুরাদের আদালতে মামলাটি দায়ের করেন মো. ইয়াছিন নামে এক ব্যবসায়ী।
আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনারকে (প্রশাসন ও অর্থ) নিজে তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বলে বাংলানিউজকে জানান বাদীর আইনজীবী শহিদুল ইসলাম সুমন।
মামলায় অপর আসামিরা হলেন- বায়েজিদ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আফতাব, এএসআই মো. ইব্রাহিম, এএসআই মিঠুন নাথ, কনস্টেবল রহমান ও সাইফুল।
মামলায় পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৩৪৭/৩৬৪/৩৮৭/৩৮৮/১০৯/৩৪ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
অভিযোগকারী মো. ইয়াছিন পলিটেকনিক এলাকার শামসুল হকের ছেলে এবং মেসার্স ইয়াছিন এন্টারপ্রাইজের মালিক।
মামলার এজাহারে মো. ইয়াছিন উল্লেখ করেন, ২০১৯ সালের ২০ সেপ্টেম্বর সকালে তাকে এসআই মো. আফতাবসহ অন্য আসামিরা বায়েজিদ থানায় ধরে নিয়ে যান। পরে তাকে আটকে রেখে ২০ লাখ টাকা দাবি করেন। টাকা না দিলে ক্রসফায়ার দিয়ে মেরে ফেলার হুমকি দেন তারা।
‘বাদির ভাই মো. ফারুক ১১ লাখ টাকা দিলে দুইটি অলিখিত স্ট্যাম্পে সই নিয়ে তাকে ছেড়ে দেন। এ ঘটনা কাউকে জানালে গুলি করে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়। গত ৪ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় ফের তাকে তুলে নিয়ে মাইক্রোবাসে করে নির্জন এলাকায় নিয়ে ৫০ লাখ টাকা দাবি করেন। এ টাকা না দিলে তাকে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়। ’
‘ফের ১২ লাখ টাকা দিলে সেদিন তাকে আতুরারডিপো এলাকায় নিয়ে মাইক্রোবাস থেকে নামিয়ে দেওয়া হয়। এ ঘটনায় আইজিপি বরাবর অভিযোগ দিলেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। ’ উল্লেখ করেন বাদি মো. ইয়াছিন।
জানতে চাইলে অভিযুক্ত আতাউর রহমান খোন্দকার ও প্রিটন সরকার বাংলানিউজকে জানান, ইয়াছিন নামে কাউকে তারা চিনেন না। ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে টাকা আদায়ের যে অভিযোগ করা হয়েছে তা মিথ্যা।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২০
এসকে/টিসি