এদিকে শিশুটিকে দত্তক নিতে আগ্রহী বেশ কয়েকজন দম্পতি।
গত সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) শিশুটিকে উদ্ধারের পর চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের শিশুস্বাস্থ্য বিভাগের পেডিয়েট্রিক ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে ভর্তি করা হয়।
চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহসেন উদ্দিন আহমেদ বাংলানিউজকে বলেন, শিশুটিকে পিআইসিইউতে রাখা হয়েছে। এখন পর্যন্ত শিশুটির অবস্থা গত দু’দিনের চেয়ে ভালো।
চমেক হাসপাতালে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শিশুটির চিকিৎসায় হাসপাতাল ও সমাজসেবা অধিদপ্তর থেকে ওষুধপত্র সরবরাহ এবং খাবার সরবরাহ করা হয়েছে। এছাড়া হাসপাতালের অন্য রোগীর স্বজনরা শিশুটির জন্য জামা কাপড়ের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন।
এ ব্যাপারে সমাজসেবা কার্যালয়ের চমেক হাসপাতাল শাখার সমাজসেবা কর্মকর্তা অভিজিৎ সাহা বাংলানিউজকে বলেন, সমাজসেবা অধিদপ্তর থেকে যতটুকু সুযোগ সুবিধা দেওয়া যায় তা নিশ্চিত করা হয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত শিশুটিকে দত্তক নিতে কেউ আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেনি। শিশুটিকে নিতে কেউ আগ্রহ না দেখালে চাইল্ড হোমে রাখা হবে।
এদিকে শিশুটিকে কুড়িয়ে পাওয়ার দুদিন পরেও খোঁজ মেলেনি আত্মীয়-স্বজনের। সমাজসেবা অফিসে যোগাযোগ না করলেও এরই মধ্যে বেশ কয়েকজন দম্পতি শিশুটিকে দত্তক নিতে যোগাযোগ করেছে খুলশী থানায়।
খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রনব চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, আমরা এখনও শিশুটির স্বজনের খোঁজ পাইনি। তবে ছয় দম্পতি আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। আমরা আগ্রহীদের আদালতের মাধ্যমে শিশুটিকে দত্তক নেওয়ার জন্য পরামর্শ দিয়েছি।
প্রসঙ্গত, গত ১৭ ফেব্রুয়ারি দুপুরে খুলশী থানাধীন চট্টগ্রাম সরকারি মডেল স্কুল ও কলেজের পাশে একটি কবরস্থান থেকে মুমূর্ষু অবস্থায় ৭ মাস বয়সী শিশুটিকে উদ্ধার করে পুলিশ।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২০
এমএম/এসি/টিসি