বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে বঙ্গোপসাগরের বাঁশখালী চ্যানেলে বেদখলীর টেক ও মোহনা এলাকায় এসব দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত ওমান প্রবাসী মো. আক্কাছ বাঁশখালীর দক্ষিণ বাগমারা এলাকার মৃত রৌশনুজ্জামানের ছেলে।
কোস্টগার্ড চট্টগ্রাম জোনের লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সাইফুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানিয়েছেন, একটি ফিশিং ট্রলারে ৩২ জন যাত্রী বাঁশখালী থেকে কক্সবাজারের কুতুবদিয়া দরবার শরিফের ওরসে যাওয়ার পথে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত বাকি তিনজন হলেন- বাঁশখালীর কাথারিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ বাগমারা গ্রামের মো. মিনহাজ (১০) এবং খানখানাবাদ ইউনিয়নের গণ্ডামারা গ্রামের আব্দুল মালেক (৫০) ও আব্দুল জলিল (৩২)।
দক্ষিণ বাগমারা গ্রামের মো. বাবুল (৪০) ও আলী আকবর (১০) নামে দুজনকে উদ্ধার করে উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বাঁশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল করিম বলেন, বাঁশখালীর কাথারিয়া ও খানখানাবাদ থেকে দু’টি নৌযানে করে কুতুবদিয়ায় মালেক শাহ’র ওরসে যাওয়ার পথে দুর্ঘটনা ঘটে। ডুবে যাওয়ার সময় লাফিয়ে খালে পড়ে সাঁতার কেটে অনেক যাত্রী তীরে উঠতে সক্ষম হন। পরে স্থানীয়রা দু’জনের মরদেহ উদ্ধার করেন।
এ ছাড়া খানখানাবাদ থেকে যাওয়া আরেকটি নৌযান জলবদর খাল পেরিয়ে সাগরের মোহনায় গেলে ডুবে যায়। এরপর স্থানীয়রা দুইজনের মরদেহ খুঁজে পান।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২০
এসবি/এসি/টিসি