নিজের একটি সৃজিত নামজারী খতিয়ানের রাজস্ব জমা দিতে গিয়ে অফিস সহকারী মো. মুছার দুর্ব্যবহারের শিকার হন তিনি।
অশ্লীল ভাষায় দুর্ব্যবহারের বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আছিয়া খাতুনকে জানিয়েছেন সাজু চৌধুরী।
সাজু চৌধুরী জানান, গত বছরের ৭ এপ্রিল নিজের কিছু জায়গার নামজারী খতিয়ান সৃজন করেছিলাম। সম্প্রতি জায়গাটি বিক্রি করতে খাজনা আদায় রশিদের দরকার হওয়ায় একমাস আগে ইউনিয়ন ভূমি অফিসে গেলে তারা জানায় নামজারী খতিয়ানটি এখনো তামিল করা হয়নি।
‘ওই সময়ে এ ব্যাপারে সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. একরামুল ছিদ্দিককে জানালে তিনি এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অফিস সহকারী মো. মুছাকে দায়িত্ব দেন। এরপরও তা না পাঠানোয় মঙ্গলবার উপজেলা ভূমি অফিসে গেলে মো. মুছা অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকেন আমাকে। ’
গ্রাহকের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আছিয়া খাতুন বলেন, বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। গ্রাহকের কাজটি দ্রুত সমাধানের জন্য কানুনগোকে বলা হয়েছে।
২০১৬ সালে বোয়ালখালী উপজেলা ভূমি অফিসে অফিস সহকারী হিসেবে যোগ দেন মো. মুছা। এরপর থেকে ভূমি অফিসে সেবা গ্রহীতাদের নানাভাবে হয়রানির অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
মো. মুছা দাবি করেছেন, উপজেলা ভূমি অফিসের আরেক অফিস সহকারী কাম নাজির লিটন বিশ্বাসের কাছে নামজারী খতিয়ানের ফাইলটি রয়েছে। তাই এর দায় লিটনের।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২০
এমআর/টিসি