এদিকে বইমেলায় শুধু বই দেখা, কেনা নয়। ফুচকা, ঝালমুড়ির সঙ্গে সমানতালে চলছে আড্ডাও।
এবার বইমেলায় রয়েছে দেশের বেশ কয়েকটি নামী প্রকাশনা সংস্থা। বিভিন্ন প্রকাশনা সংস্থার বিক্রয়কর্মীরা জানালেন, মহিউদ্দিন আহমেদের ‘বেলা-অবেলা বাংলাদেশ ১৯৭২-৭৫’ বইটি ভালো বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া শুক্লা ইফতেখারের কবিতার বই ‘সম্পর্কের স্বরলিপি’, হুমায়ূন আহমদেরে ‘মেঘ বলেছে যাব যা ‘, ‘লীলাবতীর মৃত্যু’, ‘রঙপেন্সিল’, সাদাত হোসাইনের ‘মেঘের দিন, মরণোত্তর’, হরিশংকর জলদাসের ‘নতুন জুতোয় পুরনো পা’, বিশ্বজিৎ চৌধুরীর ‘পাথরের মূর্তির মতো’, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ময়ুখ চৌধুরীর ‘চরনেরা হেঁটে যাচ্ছে মুণ্ডহীন’ বইগুলো বেশি বিক্রি হচ্ছে।
বাতিঘর প্রকাশনা সংস্থার কর্মী মো. করিম বাংলানিউজকে জানান, উল্লেখযোগ্য বিক্রি হচ্ছে শুক্লা ইফতেখারের কবিতার বই ‘সম্পর্কের স্বরলিপি’, মোহাম্মদ আজমের ‘কবি ও কবিতার সন্ধানে’, ওমর কায়সারের ‘অ্যাকুরিয়ামের দিনগুলো’ ভালো বিক্রি হচ্ছে। ম্যাগাজিন স্টলেও এবার চোখে পড়ার মতো ভিড়।
দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীর কবিতার বই
চট্টগ্রাম সরকারি সিটি কলেজের ছাত্র রাহি জি. চৌধুরী। তিনি একজন দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী হয়েও লিখেছেন কবিতার বই। ‘মুক্ত কবির কাব্য’ শিরোনামে কবিতার বইটি চাহিদাও বেশ।
স্পর্শ ব্রেইল প্রকাশনার স্টলে থাকা মুরশেদা আকতার মৌসুমি বাংলানিউজকে জানান, কম্পিউটারে টাইপ করে রাহি ভাই নিজেই বইটি লিখেছেন। তার বইটি বিক্রিও হচ্ছে বেশ। এ ছাড়া এবার দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীর জন্য বিভিন্ন ব্রেইল বইও নিয়ে আসা হয়েছে। যেমন- নীলামা ইব্রাহিমের ‘আমি বীরাঙ্গনা বলছি’, আশিক মুস্তাফার ‘বিচ্ছু বাহিনী’ অন্যতম।
পরিচ্ছন্ন বইমেলা
প্রতিদিন বইমেলা প্রাঙ্গণে কয়েক হাজার মানুষের সমাগম হয়। যত দিন যাচ্ছে, ততই বইপ্রেমিকদের ভিড় বাড়ছে। তবে মেলা প্রাঙ্গণে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা দেখে অনেকে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। ধুলোবালি ওড়াওড়ি বন্ধ করতে পুরো প্রাঙ্গণে ইট বিছিয়ে দেওয়া হয়েছে।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের ছাত্র রাকিব হাসান বাংলানিউজকে জানান, আগেরবারের চেয়ে এবার পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বেশি দেখে খুব ভালো লাগছে। ধুলোবালি না থাকায় বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডাও জমে উঠেছে বেশ।
পুরো বইমেলা নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে সিসিটিভি ক্যামেরায়। এর ফলে বখাটেদের উৎপাত, বই চুরিও কমে গেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০২০
জেইউ/টিসি