তিনি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী যার হাতে নৌকা প্রতীক তুলে দিয়েছেন, তাকে বিজয়ী করার জন্য আমার যতটুকু সামর্থ্য আছে- তার শতভাগ উজাড় করে দেবো। জীবনবাজি রেখে চেষ্টা চালিয়ে যাবো।
সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে ফিরে নিজ বাসভবনের সামনে অপেক্ষমান সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন আ জ ম নাছির উদ্দীন।
তিনি বলেন, রেজাউল করিম ভাইয়ের সঙ্গে আজকেও আমার কথা হয়েছে। গতকালও আমরা কথা বলেছি। আগামী পরশুদিন তিনি চট্টগ্রামে আসবেন। তাকে রেলস্টেশন চত্বরে আমরা বরণ করে নেবো। এরপর নগর আওয়ামী লীগের নেতারা সবাই তার সঙ্গে বসে কীভাবে সিটি নির্বাচন পরিচালনা করা হবে তার কৌশল ঠিক করবো। পরিকল্পনা নেবো।
আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, মনোনয়ন আমার পৈতৃক সম্পত্তি নয়। আজীবন আমি একটি পদে থাকবো না। প্রত্যেকেই ক্রমান্বয়ে পদে আসবে। এটি সাধারণ বিষয়। কেউ আসবেন, কেউ বিদায় নেবেন- এটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। এসব নিয়ে কাল্পনিক কারণ খোঁজাটা আমি স্বাভাবিক মনে করি না।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী আমাকে দলের সাধারণ সম্পাদক করেছেন। তিনবারের সফল মেয়র আমাদের শ্রদ্ধেয় নেতা এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীকে সরিয়ে তিনিই আমাকে মেয়র পদে মনোনয়ন দেন। তখন মহিউদ্দিন ভাইয়ের পরিবর্তে আমাকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়েছিলো, এখন আমার পরিবর্তে আরেকজনকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।
চসিক মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালনে নিজেকে শতভাগ সফল দাবি করে আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, কাজের ক্ষেত্রে আমাকে ব্যর্থ বলার কোনো সুযোগ নেই। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ইতিহাসে ৪০ বছরে যত কাজ হয়নি, তার চেয়ে অনেক বেশি কাজ এবার আমার আমলে হয়েছে। এ সময় যতগুলো প্রকল্প প্রধানমন্ত্রী আমাকে দিয়েছেন, বিগত দিনে কেউ এতো প্রকল্প পাননি।
‘কাজের ক্ষেত্রে আমি শতভাগ সফল। এটা নিয়ে কেউ কোনো প্রশ্ন তুলতে পারবে না। ’
এদিকে দলের নেতাকর্মীদের ভিড় এড়াতে অনেকটা নিরবে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে ফিরলেও নগরের আন্দরকিল্লা এলাকায় আ জ ম নাছির উদ্দীনের বাসভবনে বিকেলে নেতাকর্মীদের ঢল নামে। মুহূর্তেই কয়েক হাজার নেতাকর্মী সেখানে ভিড় জমান। এ সময় অনেকে আবেগতাড়িত হয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০২০
এমআর/টিসি