ঢাকা, শুক্রবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ভেজাল ও নিম্নমানের ভোগ্যপণ্য ঠেকাতে নমুনা তুলবে বিএসটিআই

আল রাহমান, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭১৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০২০
ভেজাল ও নিম্নমানের ভোগ্যপণ্য ঠেকাতে নমুনা তুলবে বিএসটিআই ফাইল ফটো

চট্টগ্রাম: রমজানের বাকি আর মাত্র ২ মাস ১ সপ্তাহ। কিন্তু অসাধু ব্যবসায়ীরা নিম্নমানের, নকল, ভেজাল ভোগ্যপণ্য বাজারজাত করার কাজটি শুরু করেছে আরও আগেই। রমজানের সেহেরি, ইফতারে অত্যাবশ্যক এমন ভোগ্যপণ্য ও উপকরণে ভেজাল ঠেকাতে খোলাবাজার থেকে নমুনা সংগ্রহ করতে মাঠে নামছে বিএসটিআই টিম।

বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই) সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রামের বাজার থেকে তোলা হবে ঘি, ময়দা, আটা, সুজি, সরিষার তেল, ফর্টিফাইড সয়াবিন, পাম অয়েল, পাম অলিন, মরিচের গুঁড়া, হলুদের গুঁড়া, লাচ্ছা সেমাই, বাংলা সেমাই, দই, নুডলস, সফট ড্রিংকস পাউডার, লবণ, বিস্কুট ইত্যাদি পণ্যের নমুনা।

সম্প্রতি বিএসটিআইয়ের পরিচালক (প্রশাসন) মো. তাহের জামিল রমজান সামনে রেখে বাজার থেকে বিভিন্ন পণ্যের নমুন সংগ্রহ ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য চিঠি দিয়েছেন।

চিঠিতে বলা হয়েছে, আগামী ২৫ এপ্রিল থেকে পবিত্র রমজান মাস শুরু হবে। প্রতি বছরের মতো পবিত্র রমজান মাসকে সামনে রেখে আগামী জুন পর্যন্ত সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করে খাদ্যপণ্যসহ গুরুত্বপূর্ণ ভোগ্যপণ্যের ওপর সার্ভিল্যান্স বা মনিটরিং কার্যক্রম জোরদার করার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।

ওই চিঠিতে গৃহীত কার্যক্রমের সাপ্তাহিক অগ্রগতি প্রতিবেদন মহাপরিচালকের বরাবর পাঠাতেও অনুরোধ জানানো হয়।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বিএসটিআই চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক (সিএম) মোস্তাক আহমেদ বাংলানিউজকে বলেন, ঢাকা থেকে চিঠি পাওয়ার পর থেকে কর্মপরিকল্পনা সাজানো হয়েছে। শিগগির আমরা তালিকাভুক্ত পণ্যের নমুনা সংগ্রহ করবো বাজার থেকে। এরপর পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে যদি নিম্নমানের পণ্য, নকল, ভেজাল পণ্য পাওয়া যায় তবে মামলাসহ কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জনস্বার্থ, জনস্বাস্থ্য ও নিরাপদ খাদ্যের প্রশ্নে জিরো টলারেন্স নীতিতে কাজ করছি আমরা।

তিনি বলেন, ২০১৯ সালে বাজার থেকে নমুনা সংগ্রহের পর পরীক্ষা করে অনেক পণ্যে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড অনুযায়ী উপকরণ বা প্যারামিটারগুলো সঠিক মাত্রায় পাওয়া যায়নি। মানোত্তীর্ণ না হওয়া পণ্যের নাম ও প্রতিষ্ঠানের নামসহ বিজ্ঞাপন দিয়ে সতর্ক করা হয়। এর ফলে অনেক কোম্পানি তাদের পণ্য বাজার থেকে তুলে নিতে বাধ্য হয়। ব্যাপক জনসচেতনতাও সৃষ্টি হয়।

কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সহ-সভাপতি এসএম নাজের হোসাইন বাংলানিউজকে বলেন, বাজারে সবচেয়ে বেশি ভেজাল হচ্ছে ঘি। সারা বছরের চাহিদার বেশ কয়েকগুণ বেড়ে যায় রমজানে। তাই আগেভাগেই নগরের বিভিন্ন বস্তি ও শহরতলী এলাকায় ঘরভাড়া করে ভেজাল ঘি তৈরি করে একটি চক্র। বিএসটিআইকে নমুনা তোলার ক্ষেত্রে ঘি’র ওপর সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। কারণ ভেজাল ঘি জনস্বাস্থ্যের জন্য চরম হুমকিস্বরূপ।

তিনি বলেন, পাশাপাশি লাচ্ছা সেমাই, মরিচ, হলুদের গুঁড়া, আয়োডিনহীন লবণ, ভেজাল ভোজ্যতেলের ওপরও গুরুত্ব দিতে হবে। একইসঙ্গে ওজনে কারচুপি, সিন্ডিকেট করে কৃত্রিম সংকটের মাধ্যমে বাজার অস্থিতিশীল করার অপচেষ্টা রুখে দিতে রমজানের মাসখানেক আগে থেকে নিয়মিত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করতে হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১২০০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০২০
এআর/এসি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।