রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) নগরের পতেঙ্গার ডেইলপাড়ায় দেশের প্রথম কাজুবাদামের কারখানা ‘গ্রিনগ্রেইন কেশিও প্রসেসিং ইন্ডাস্ট্রি’ পরিদর্শন করেন মন্ত্রী। এ সময় তরুণ উদ্যোক্তা শাকিল আহমেদ ১০ বছর আগে ২০১০ সালে পাহাড়ের কাঁচা কাজুবাদাম রফতানি থেকে শুরু করে কারখানা নির্মাণ করে দেশি কাজুবাদামের সাফল্যের গল্প শোনান ।
তিনি বলেন, ২০১০ সালে পাহাড়ি এলাকার উৎপাদিত ৩০ টন কাজুবাদাম ভারতে রফতানি করি। বাংলাদেশ থেকে সেটিই ছিল কাঁচা কাজুবাদাম রপ্তানির প্রথম চালান।
মন্ত্রী কারখানার একপাশে কাজুবাদাম গাছের চারা রোপণ করেন। এরপর কাঁচা কাজুবাদাম প্রক্রিয়াজাত করে খাওয়ার উপযোগী করার প্রক্রিয়া ঘুরে দেখেন ।
কৃষি মন্ত্রী বলেন, তরুণদের চাকরি দেওয়ার পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর আরেকটি লক্ষ্য উদ্যোক্তা হিসেবে তৈরি করা। তরুণ উদ্যোক্তা শাকিল প্রধানমন্ত্রীর স্লোগান বাস্তাবায়ন করে দেখিয়ে দিয়েছে। এ রকম তরুণদের সুযোগ দেওয়া হলে হাজারো শাকিল উদ্যোক্তা হয়ে আসবে। কৃষিমন্ত্রী হিসেবে আমার সার্থকতা হবে তখনই।
কৃষি সচিব মো. নাসিরুজ্জামান বলেন, এই কারখানা আমার কাছে অবিশ্বাস্য মনে হয়েছে। ১০ বছর লাগলেও শাকিল পরীক্ষিত কষ্টিপাথরে যাচাই করা উদ্যোক্তা।
এ খাতের উদ্যোক্তাদের প্রয়োজনে শুল্কহার কমানোসহ নানা সরকারি নীতি–সহায়তার ক্ষেত্রে কৃষি মন্ত্রণালয় ব্যবস্থা নেবে বলে ঘোষণা দেন তিনি।
অনুষ্ঠানে সংযুক্ত আরব আমিরাতে সাড়ে ৩ হাজার কেজি কাজুবাদাম রফতানির চুক্তিপত্র কৃষিমন্ত্রীর হাতে তুলে দেন শাকিল আহমেদ।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০২০
এমএম/টিসি