এসব প্রার্থীর মধ্যে ক্ষমতাসীন দলের নেতা থেকে শুরু করে ব্যবসায়ী, আইনজীবীও রয়েছেন। তবে সবচেয়ে বেশি আলোচনায় আছেন বর্তমান মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) সাবেক চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম, নগর আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন ও জহুর আহমদ চৌধুরীর ছেলে হেলাল উদ্দিন চৌধুরী তুফান, চসিকের সাবেক মেয়র মনজুর আলম, চট্টগ্রাম চেম্বারের সভাপতি মাহবুবুল আলম।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, দলীয় সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চসিক মেয়র পদে প্রার্থী নির্বাচনের ক্ষেত্রে সব মনোনয়নপ্রত্যাশীদের কষ্টিপাথরের মতো যাচাই করে নিচ্ছেন। পর্যালোচনা করা হচ্ছে এসব প্রার্থীর অতীত ও বর্তমান কর্মকাণ্ড।
দলীয় হাইকমান্ড সূত্র জানায়, প্রধানমন্ত্রী ইতোমধ্যে চট্টগ্রামের নেতাদের সঙ্গে কথা বলেছেন। চট্টগ্রামের উন্নয়ন সম্পর্কেও তিনি অবগত আছেন। সেই হিসেবে বর্তমান মেয়র মনোনয়ন দৌড়ে এগিয়ে আছেন।
চসিকের উদ্যোগে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে নগরে বসানো হয় চারটি আকর্ষণীয় ‘কাউন্ট ডাউন ক্লক’। আগামী প্রজন্মের নাগরিকদের সামনে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ তুলে ধরা এবং মুজিব বর্ষকে স্মরণীয় করে রাখার লক্ষ্যে বাটালি হিলে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল, পাহাড়তলীতে শেখ রাসেল পার্ক এবং বঙ্গবন্ধু সড়কের বড়পোল গোলচত্বরে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল স্থাপন, মুজিব বর্ষকে ঘিরে মশামুক্ত পরিচ্ছন্ন সবুজ নগর, বঙ্গবন্ধুকে নিবেদিত অমর একুশে বইমেলা আয়োজন, নগরের প্রতিটি ওয়ার্ডকে ৪ ভাগ করে প্রতিটি ভাগে রাস্তা, ফুটপাত, গলি উপগলি, নালা-নর্দমা ইত্যাদি যথাযথভাবে পরিষ্কার, মশার বংশ বিস্তার রোধ এবং মশার প্রজনন স্থান ধ্বংসকরণে কেমিক্যাল স্প্রে, বর্জ্য ফেলার স্থান ও সেকেন্ডারি ট্রান্সফার স্টেশন প্রতিমাসে ২ বার বিশেষ পরিষ্কারকরণ, ডোর টু ডোর সেবকদের কাজের মান বাড়াতে কর্মশালা, চসিক পরিচালিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, অফিস ও শপিং কমপ্লেক্স ইত্যাদি পরিষ্কারকরণ, গৃহস্থালির বর্জ্যাদি নির্দিষ্ট সময়ে নির্দিষ্ট স্থানে ফেলার বিষয়ে ‘পলিথিন ব্যবহার বন্ধ করুন, ‘চট্টগ্রাম শহরকে সুস্থ রাখুন’সহ বিভিন্ন স্লোগানে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য ক্যাম্পেইন, নগরবাসীকে সম্পৃক্তকরণ, মনিটরিং ও রিপোর্টিং কার্যক্রম জোরদার, নগরকে সবুজায়ন করার উদ্যোগ প্রশংসিত হয়েছে। মুজিব বর্ষের এই কার্যক্রম সরাসরি তদারকিতে রয়েছেন সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় তিনি আধুনিক নগর হিসেবে চট্টগ্রামকে সাজাচ্ছেন।
আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া বাংলানিউজকে বলেন, চট্টগ্রামের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর যে বিশেষ সফটকর্নার রয়েছে তার প্রতিদান হিসেবে যদি চট্টগ্রামের মানুষ বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার মনোনীত প্রার্থীকে বিজয়ী করে তাহলে আমি মনে করি চট্টগ্রামের মানুষ লাভবান হবে।
তিনি বলেন, এখানে আওয়ামী লীগের একজন যদি মেয়র হয় তাহলে চট্টগ্রামের যেসব উন্নয়ন প্রকল্প রয়েছে, চলমান প্রকল্পগুলো আরও গতিশীল হবে। প্রধানমন্ত্রী ও সরকারের সুপারভিশন থাকবে।
নগরবাসীর প্রত্যাশা, এমন প্রার্থী নির্বাচন করা হোক-যার নেতৃত্বে চট্টগ্রামের উন্নয়ন গতিশীল থাকে এবং ধারাবাহিকতা অক্ষুণ্ন থাকে। এমন কেউ যেন মেয়র পদে প্রার্থী না হয়, যার কারণে চলমান উন্নয়ান কর্মকাণ্ড থমকে যাবে। এক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী যোগ্য প্রার্থীকে মনোনয়ন দিতে ভুল করবেন না বলেও বিশ্বাস করেন তারা।
বাংলাদেশ সময়: ১১৩০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০২০
এসি/টিসি