ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

চীনা জাহাজকে ‘নির্দিষ্ট সময়’ অপেক্ষা করতে হবে সাগরে

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৩১৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২০
চীনা জাহাজকে ‘নির্দিষ্ট সময়’ অপেক্ষা করতে হবে সাগরে চট্টগ্রাম বন্দর। ছবি: বাংলানিউজ

চট্টগ্রাম: করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে চীনা জাহাজের পণ্য খালাসের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুসরণ করবে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। বিশ্বের উন্নত বন্দরগুলোর মতো চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষও চীন ছেড়ে আসা জাহাজকে নির্দিষ্ট সময় বহির্নোঙরে অপেক্ষমাণ রাখবে।

বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রাম বন্দর ভবনে ‘বার্থিং সভায়’ বিষয়টি আলোচিত হয়েছে।

বন্দর ও শিপিং এজেন্ট সূত্রে জানা গেছে, করোনা ভাইরাসের ঝুঁকি এড়াতে চীন থেকে সরাসরি আসা জাহাজ বা চীনা নাবিক রয়েছেন এমন জাহাজ কমপক্ষে ১৪ দিন, সর্বোচ্চ ২২ দিন সাগরে থাকতে হবে।

জাহাজ ছাড়ার পর থেকে দিন গণনা শুরু হবে। এসব জাহাজ আসার পর বন্দরের বহির্নোঙরে অপেক্ষা করবে।
যথারীতি জাহাজে করোনা ভাইরাস আক্রান্ত কোনো নাবিক নেই ঘোষণার পাশাপাশি স্বাস্থ্য বিভাগের মেডিক্যাল টিম ‘স্ক্রিনিং’ বা স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে করোনা ভাইরাস রয়েছে কিনা দেখবে। নির্দিষ্ট সময় অতিক্রান্ত হলেই ওই জাহাজ থেকে পণ্য খালাস শুরু হবে কিংবা বন্দরের মূল জেটিতে আনা হবে।

বন্দর সচিব মো. ওমর ফারুক বাংলানিউজকে জানান, চট্টগ্রাম বন্দর একটি আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান। আইএসপিএস কমপ্লায়েন্স বন্দর এটি। বিশ্বের উন্নত বন্দরগুলোর নিয়ম, কানুন, বিধি অনুসরণ করতে হয়। করোনা ভাইরাস প্রতিরোধমূলক কার্যক্রমেও উন্নত বন্দরগুলোর মতো আমরাও চীন থেকে আসা জাহাজকে নির্দিষ্ট সময় বহির্নোঙরে অপেক্ষমাণ রাখবো। বিষয়টি বার্থিং সভায় শিপিং এজেন্টদের জানানো হয়েছে।  

বাংলাদেশ শিপিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আহসানুল হক চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, চীনা জাহাজ নির্দিষ্ট সময় অপেক্ষমাণ রাখার বিষয়টি বার্থিং সভায় মৌখিকভাবে জানানো হয়েছে। লিখিতভাবে পেলে আমরা সেটি প্রিন্সিপালকে (বিদেশি জাহাজ মালিক কর্তৃপক্ষ) জানাতে পারবো।

এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, চীন থেকে সরাসরি চট্টগ্রাম বন্দরে আসতে একটি জাহাজের ৭-৮ দিন সময় লাগে। এরপর জেটিমুখী জাহাজকে বিশেষ করে কনটেইনারবাহী জাহাজ জেটিতে আনতে আরও কয়েকদিন সময় লাগে। এখন বেশি সময় যদি অপেক্ষমাণ থাকে তবে দিনপ্রতি জরিমানা গুণতে হবে।   

বন্দর স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মোতাহার হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, গত ৩১ জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত সাড়ে সাতশ’ নাবিকের স্ক্রিনিং কার্যক্রম সম্পন্ন করেছি আমরা। চীনা জাহাজ এলে বহির্নোঙরে (সাগরে) গিয়ে মেডিক্যাল টিম স্ক্রিনিং করে আসছে। অন্যান্য দেশের জাহাজ বন্দরের জেটিতে ভিড়লেই নাবিকদের স্ক্রিনিং করা হচ্ছে। বন্দরের ১ নম্বর জেটিতে মেডিক্যাল টিমের বুথ রাখা হয়েছে।    

তিনি জানান, এখনো পর্যন্ত করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত কোনো নাবিক পাওয়া যায়নি।

>> বিশ্বের সেরা ১০০ বন্দরের মধ্যে ‘চট্টগ্রাম’ ৬৪তম 
>> করোনা ভাইরাস: প্রস্তুত বন্দরের অ্যাম্বুল্যান্স শিপ
>> চীনা জাহাজের নাবিকদের শতভাগ স্ক্রিনিং বন্দরে

বাংলাদেশ সময়: ২২১৩ ঘণ্টা,  ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২০
এআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।