রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) গ্র্যান্ড ফাইনালের মধ্য দিয়ে শেষ হয় ২৮টি বিশ্ববিদ্যালয়ের অংশগ্রহণে যুক্তির এ লড়াই। এতে গেস্ট অব অনার ছিলেন বিতার্কিক ও মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ডা. আব্দুন নূর তুষার।
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, পৃথিবীতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো সময়। তাই সময়ের যথাযথ ব্যবহার করা উচিৎ।
তিনি আরো বলেন, ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটি আলোকিত শিক্ষার্থী তৈরি করছে। তারা শুধু দেশের নয়, পুরো পৃথিবীর সম্পদ হিসেবে গড়ে উঠছে।
ইডিইউর কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক সামস উদ-দোহার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন ইডিইউর উপাচার্য অধ্যাপক মু. সিকান্দার খান। তিনি বলেন, বিতর্কের চর্চা মানুষকে আলোকিত করে। জ্ঞান ও যুক্তির আভায় উজ্জ্বল করে তোলে।
ইডিইউর প্রতিষ্ঠাতা ভাইস চেয়ারম্যান সাঈদ আল নোমান শুভেচ্ছা বার্তায় বিজয়ী ও রানার আপসহ সকল অংশগ্রহণকারীকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটিকে জ্ঞানের চর্চার কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে আমরা সচেষ্ট। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের নানা অনুষ্ঠান আয়োজনের পাশাপাশি জ্ঞানী ও দক্ষ ব্যক্তিদের নিয়ে আসছি ইডিইউতে। দেশের গণ্ডি পার হয়ে যাতে বিদেশের বড় বড় প্রতিষ্ঠানে কাজের যোগ্যতা অর্জন করতে পারে, তাই শিক্ষার্থীদের ইন্টারন্যাশনাল গ্র্যাজুয়েট লিডারশিপ এক্সপেরিয়েন্স কোর্সের মাধ্যমে বিদেশে নিয়ে যাচ্ছি।
বিশেষ অতিথি কিশোয়ান গ্রুপের চেয়ারম্যান আবদুল মোতালেবের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন জিএম (একাউন্টস অ্যান্ড ফাইন্যান্স) মো. রাকিব উদ্দিন।
শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শুরু হওয়া এ উৎসব আয়োজনে সহযোগিতা করেছে কিশোয়ান গ্রুপ, দৃষ্টি চট্টগ্রাম ও র্যাংকস এফসি প্রপার্টিজ। মিডিয়া পার্টনার মাছরাঙা টিভি ও কালের কণ্ঠ।
ইডিইউ ডিবেটিং সোসাইটির উপদেষ্টা প্রভাষক মিথিলা আফরিন বলেন, শিগগিরই জাতীয় পর্যায়ের গণ্ডি পেরিয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ের প্রতিযোগিতা আয়োজনে কাজ করছে ইডিইউডিএস।
উপস্থিত ছিলেন রেজিস্ট্রার সজল কান্তি বড়ুয়া, প্ল্যানিং অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট ডিরেক্টর শাফায়েত কবির চৌধুরী, স্কুল অব লিবারেল আর্টসের অ্যাসোসিয়েট ডিন মুহাম্মদ শহিদুল ইসলাম চৌধুরী, ডিরেক্টর অব স্টুডেন্ট এক্টিভিটিজ ডা. এটিএম মাহমুদুর রহমান, দৃষ্টি চট্টগ্রামের সভাপতি মাসুদ বকুল, র্যাংকস এফসি প্রপার্টিজের সিইও তানভীর শাহরিয়ার রিমন ও ইডিইউ ডিবেটিং সোসাইটির কনভেনার মুন্না মজুমদার, কো-অর্ডিনেটর উম্মে তানজিনা নাদিয়াসহ সদস্যরা।
বাংলা সংসদীয় ধারার এ প্রতিযোগিতায় সারাদেশের ২৮টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮৪ জন বিতার্কিক এবং ৩০ জন বিচারক অংশ নিয়েছেন। ডিবেটার অব দ্য ফাইনাল নির্বাচিত হন ডিইউডিএস এর ইশতি এবং ডিবেটার অব দ্য টুর্নামেন্ট নির্বাচিত হন যৌথভাবে সিইউডিএস এর নাকিব ও চুয়েটডিএস এর রাদি।
বিজয়ী দুই দল ছাড়াও বুয়েট, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, চুয়েট, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, রুয়েট, কুয়েট, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ টেক্সটাইল ইউনিভার্সিটি, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি, আহসানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটি, স্টেট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ, স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটি, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় আইবিএ, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়, সাদার্ন ইউনিভার্সিটি, বিজিসি ট্রাস্ট বিশ্ববিদ্যালয়, ইউএসটিসি, পোর্ট সিটি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, নোয়াখালী টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, চট্টগ্রাম সরকারি কমার্স কলেজ ও ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটি থেকে প্রতিযোগীরা অংশ নিয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১২২৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২০
এসি/টিসি
