বর্তমান মেয়র ও নগর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন নাকি এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর উত্তরসূরি তার সুযোগ্য সন্তান, নগরীর কোতোয়ালী আসনের সংসদ সদস্য, উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল নাকি অন্য কেউ।
দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, দলের মনোনয়ন বোর্ড খুব শিগগির মেয়র পদে কে আসছেন তা নির্ধারণ করবেন।
রাজনৈতিক সচেতন নগরবাসীর একাধিকজন বাংলানিউজকে জানান, দুই শীর্ষ নেতার এই ইতিবাচক বক্তব্য তৃণমূলে নিঃসন্দেহে ঐক্যের সৃষ্টি করবে। ঢাকা সিটি করপোরেশনের মতো চট্টগ্রামেও বিরোধী দল বিএনপি নির্বাচনে আসলে নির্বাচন তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বীতাপূর্ণ হবে, এতে কোনো সন্দেহ নেই। তাই আওয়ামীলীগের তৃণমূলে ঐক্যের বিকল্প নেই বলে বলছেন তারা।
এদিকে গত ৬ ফেব্রুয়ারি লাখো নারী-পুরুষকে লালদীঘির মাঠে মাদক, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, যৌতুক ও দুর্নীতি প্রতিরোধে শপথ করিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন।
চসিক আয়োজিত মহাসমাবেশে তিনি এ শপথ বাক্য পাঠ করান। মেয়র বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর সুস্পষ্ট লক্ষ্য ছিলো-একটি সমৃদ্ধ জাতি ও উন্নত বাংলাদেশ, দেশের সব মানুষের মুখে হাসি ফোটানো এবং প্রত্যেকটি মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা।
তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রূপকল্প নির্ধারণ করেছেন ২০৪১ এর মধ্যে উন্নত বাংলাদেশ। সেই উন্নত বাংলাদেশের জন্য আমাদের আগামী প্রজন্মকে সব ধরনের সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, মাদক, দুর্নীতি ও যৌতুক থেকে নিজেদের রক্ষা করতে আমরা মহাসমাবেশ করেছি’।
২০১৫ সালের ২৮ এপ্রিল চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে জয়ী হন নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন। চট্টগ্রামকে ক্লিন ও গ্রিন সিটিতে পরিণত করার প্রতিশ্রুতি সম্বলিত ৩৬ দফা নির্বাচনী ইশতেহার দিয়েছিলেন তিনি। এসব প্রতিশ্রুতির অধিকাংশই তিনি পূরণ করতে পেরেছেন বলে দাবি তার অনুসারীদের। লালদীঘির মাঠে মহাসমাবেশে বিভিন্ন বক্তা ও অনুসারীদের কণ্ঠে ব্যক্ত হয়েছে, এই অগ্রযাত্রার ধারাবাহিকতা রক্ষার কথা।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে জনগণের প্রতি যে দায়বদ্ধতা, অঙ্গীকার, সেই অঙ্গীকার থেকে ৪১টি ওয়ার্ডের সব শ্রেণি-পেশার মানুষকে নিয়ে জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস, মাদক, যৌতুক ও দুর্নীতিবিরোধী জনমত তৈরি করার চেষ্টা প্রশংসনীয় বলে মন্তব্য করেছেন সুধীজনরা। তারা বলছেন, এ শপথ পরিবারকে রক্ষা করার শপথ, এ নগরকে আধুনিক চট্টগ্রাম হিসেবে গড়ার শপথ।
ক্লিন ও গ্রিন সিটি বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে বিলবোর্ডমুক্ত হয়েছে পুরো শহর। সেবাধর্মী বিভিন্ন সংস্থার মধ্যে সমন্বয় সাধন করে উন্নয়ন কাজ পরিচালনা করার নতুন পদক্ষেপ গ্রহণ করেন মেয়র। তিনি রেকর্ডসংখ্যক প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছেন, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাতে এনেছেন আমূল পরিবর্তন।
বাংলাদেশ সময়: ১২০০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৯, ২০২০
টিসি