বন্দরের সিসিটি ইয়ার্ডে বুধবার (২৯ জানুয়ারি) সকালে একটি ও বিকেলে একটি কনটেইনার খোলার পর চাঞ্চল্যকর এ ঘটনা ধরা পড়ে। চালানগুলোর বিষয়ে আগেই গোপন সংবাদ ছিলো গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের কাছে।
কাস্টম হাউস সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রামের মেহেদিবাগের আমিরবাগ এলাকার ওয়েন্স মেটাল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড নামের একটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের দুইটি কনটেইনার খোলার পর পাওয়া গেছে মাত্র আড়াইশ কেজি তামার তার। চালানটি খালাসের দায়িত্বে ছিলো চট্টগ্রামের চৌমুহনীর জাহান চেম্বারের মাল্টি ভিউ ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের কমিশনার মো. ফখরুল আলম বাংলানিউজকে জানান, জেটি কাস্টমসের কর্মকর্তারা চালানটি খালাস পর্যায়ে পরীক্ষার সময় একটি কনটেইনারে মাত্র ১২৫ কেজি, অপরটিতে ১২৭ কেজি ঘোষিত পণ্য পেয়েছে। এটি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের প্রতারণাও হতে পারে। কারণ দুই কনটেইনার স্ক্র্যাপের মূল্য খুব বেশি হবে না। তবুও বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন কাস্টমস কর্মকর্তারা।
তিনি বলেন, এখনি মানি লন্ডারিং হয়েছে বলতে পারবো না। দেখতে হবে এলসির পেমেন্ট হয়েছে কিনা। আবার রপ্তানিকারকের ভুলে কিংবা প্রতারণার ঘটনা ঘটলে অনেক সময় তারা টাকা ফেরত দেন বা পুনঃরপ্তানি করেন। গত মাসে তৈরি পোশাক শিল্পের একটি চালানে বালিভর্তি কনটেইনার পাঠিয়ে দিয়েছিলো রপ্তানিকারক। পরে প্রপার চ্যানেলে চাপ প্রয়োগের পর তারা টাকা ফেরত দিয়েছিলো।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৯, ২০২০
এআর/জেইউ/টিসি