বুধবার (২৯ জানুয়ারি) দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের (সিইউজে) দ্বিবার্ষিক সম্মেলন ও কৃতি সাংবাদিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠান উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বাঙালিকে যিনি স্বাধীন রাষ্ট্র দিয়েছেন সেই বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী।
তিনি বলেন, ১৯৬০ সালে সিইউজের জন্ম। আমি তখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলাম, কঠোর ও কঠিন সময় ছিলো। আইয়ুব খানের সামরিক শাসনের কারণে কণ্ঠরোধ অবস্থা। কথায় কথায় বেত্রাঘাত চলতো। সেই সময় প্রতিবাদ জানিয়েছিলো সংবাদপত্র। ঢাকার ইত্তেফাক বাংলার জনগণের ক্ষোভ নানাভাবে প্রকাশ করেছিলো। প্রচ্ছন্নভাবে প্রকাশ করতে হয়েছিলো। বাষট্টির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বিক্ষোভে আমি অংশ নিয়েছি। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সাংবাদিকরা সংবাদ প্রকাশ করেছিলেন। মানুষের অধিকার রক্ষায় কাজ করছেন সাংবাদিকরা।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার বার্তাটির সাইক্লোস্টাইলে ছাপানো কপি আন্দরকিল্লার আজাদী অফিসে দেখেছি। চবির বাংলার অধ্যাপক আবু জাফর আমার সঙ্গে ছিলেন। তিনি বেশ কিছু কপি নিয়েছিলেন। সেই কপি চবির মুক্তযুদ্ধ জাদুঘরে দিয়েছিলেন। এগুলো কীভাবে সংরক্ষণ করা হচ্ছে জানি না।
ড. সেন বলেন, ১৯৪১ সালে উন্নত রাষ্ট্র হবে। সেই যাত্রা শুরু হয়েছে। আমরা ক্ষুধা মঙ্গাকে জয় করেছি। এখন দারিদ্র্যমুক্ত করার কাজ চলছে। এখন দারিদ্র্যসীমার নিচে ২১ শতাংশ।
সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মোল্লা জালাল ও মহাসচিব শাবান মাহমুদ।
সিইউজে সভাপতি নাজিমুদ্দীন শ্যামলের সভাপতিত্বে সম্মেলন মঞ্চে ছিলেন বিএফইউজের সহসভাপতি রিয়াজ হায়দার চৌধুরী, যুগ্ম মহাসচিব মহসীন কাজী, প্রেস ক্লাব সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ।
এবার কৃতি সাংবাদিক হিসেবে সংবর্ধনা দেওয়া হয় প্রবীণ সাংবাদিক ও নাট্যজন প্রদীপ দেওয়ানজীকে। সভা পরিচালনা করেন সিইউজে সাধারণ সম্পাদক হাসান ফেরদৌস।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৯, ২০২০
এআর/এসি/টিসি