ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

‘দক্ষ জনশক্তি তৈরিতে অবদান রাখছে মেরিন একাডেমি’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৯, ২০২০
‘দক্ষ জনশক্তি তৈরিতে অবদান রাখছে মেরিন একাডেমি’ কুচকাওয়াজে সালাম গ্রহণ করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

চট্টগ্রাম: সরকার নতুন প্রজন্মকে আধুনিক ও উন্নত বাংলাদেশের নির্মাতা হিসেবে গড়ে তুলতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

বুধবার (২৯ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টায় বাংলাদেশ মেরিন একাডেমির ৫৪তম ব্যাচের ক্যাডেটদের শিক্ষা সমাপনী কুচকাওয়াজে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, গতানুগতিক শিক্ষা ব্যবস্থায় কিংবা প্রচলিত ধ্যান ধারণায় উন্নত বাংলাদেশ গঠন করা সম্ভব নয়।

এজন্যই আধুনিক ও বিশ্বমানের জ্ঞান-বিজ্ঞানসমৃদ্ধ প্রযুক্তি ও দক্ষতানির্ভর সমাজ গঠনে কারিগরি শিক্ষার প্রসারে সরকার ইতোমধ্যে বিশেষ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। আধুনিক বিশ্বের শ্রমবাজারে প্রতিযোগিতা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে।

কুচকাওয়াজে সালাম গ্রহণ করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। ‘দক্ষ জনশক্তি তৈরিতে একাডেমি অবদান রাখছে। শিপিং এবং মেরিটাইম সেক্টরে এ অঞ্চলের মধ্যে বাংলাদেশ মেরিন একাডেমিকে নলেজ সেন্টার হিসেবে প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ গ্রহণের পাশাপাশি ‘বঙ্গবন্ধু টেকনো মেরিনা’ শীর্ষক প্রকল্প গ্রহণ করেছে সরকার। ’

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ মেরিন একাডেমি আন্তর্জাতিক জলসীমায় চলাচলরত সমুদ্র জাহাজ পরিচালনার জন্য বিশ্বমানের মেরিন অফিসার ও মেরিন ইঞ্জিনিয়ার তৈরি জাতীয় প্রতিষ্ঠান। স্বাধীনতার পর থেকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে মেরিন একাডেমি। প্রথম ব্যাচ থেকে এ পর্যন্ত একাডেমি থেকে প্রশিক্ষিত চার হাজার ৬শ জন মেরিনারের সম্মিলিত বার্ষিক আয় প্রায় দুই হাজার কোটি টাকা।

তিনি বলেন, পূর্বে একজন ক্যাডেটকে প্রশিক্ষণ দিতে প্রদান করতে হতো প্রায় ৪ লাখ টাকা। জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার ক্যাডেটদের প্রশিক্ষণ ফি হ্রাস করে ১ লাখ টাকা করেছে। শুধু তাই নয়- পাবনা, রংপুর, বরিশাল ও সিলেটে নির্মাণাধীন মেরিন একাডেমিগুলোর কাজ সম্পন্ন হয়েছে। যা খুব শীঘ্রই চালু হবে। এখন থেকে কম খরচে আরও অধিক সংখ্যক ক্যাডেটকে আমরা প্রশিক্ষণ দিতে পারবো। এরই মধ্যে এ একাডেমি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা থেকে স্বীকৃতি লাভ করেছে।

শিক্ষা সমাপনীতে কৃতি ক্যাডেটকে পদক তুলে দেন শিক্ষামন্ত্রী। ‘আমাদের যুবসমাজ স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব বিরোধী অপশক্তির কাছে হার মানেনি। তারা সবসময়ই বাঙালির সকল অধিকার আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছে। জাতির প্রতিটি সংকটময় মুহূর্তে অমূল্য অবদান রেখেছে। ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ গঠনে তারা গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে বলে আমার বিশ্বাস’।

বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা ও টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে তরুণ সমাজের সম্পৃক্ততা অপরিহার্য উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু সোনার বাংলা গড়ার আজন্ম লালিত স্বপ্ন বাস্তবায়ন করে যেতে পারেননি। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে আপনাদের ভূমিকা রাখতে হবে।

এর আগে শিক্ষামন্ত্রী ৫৪তম ব্যাচের প্যারেড পরিদর্শন এবং পরে কুচকাওয়াজে সালাম গ্রহণ করেন।

নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল ও নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আবদুস সামাদ শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে প্যারেড পরিদর্শন করেন।

কৃতি ক্যাডেটকে পদক পরিয়ে দেন শিক্ষামন্ত্রী। এবারের ৫৪তম ব্যাচে নটিক্যাল শাখায় ৪৯জন এবং ইঞ্জিনিয়ারিং শাখায় ৫৫জন ক্যাডেটসহ মোট ১০৪ জন ক্যাডেট দু’বছর মেয়াদি অ্যাকাডেমিক ও রেজিমেন্টাল প্রশিক্ষণ সমাপ্ত করেছে। সকল ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ কৃতিত্বের জন্য মো. সালমান হাসান রাষ্ট্রপতি স্বর্ণপদক অর্জন করেন। এছাড়া এ বছর সমাপনী পরীক্ষায় সর্বোচ্চ নম্বর প্রাপ্তির জন্য নৌ শাখার আবু সালেহ এবং প্রকৌশল শাখার ইকবাল মাহমুদ ইকরা নৌ মন্ত্রণালয়ের রৌপ্য পদক অর্জন করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১২৫০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৯, ২০২০
এমএম/এসি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।