এ কারণে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সত্যিকারের পরিপূর্ণ মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে সংগীতের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরির দায়িত্ব নিতে হবে অভিভাবক, সমাজ ও রাষ্ট্রকে।
বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) সদারঙ্গ উচ্চাঙ্গ সংগীত পরিষদ বাংলাদেশের ২৩ বছর পূর্তি উপলক্ষে বক্তারা উল্লিখিত মন্তব্য করেন।
শুরুতে মঙ্গলপ্রদীপ জ্বালিয়ে তিন দিনব্যাপী সম্মেলনের উদ্বোধন করেন উস্তাদ আলাউদ্দিন খানের পৌত্র উস্তাদ শাহাদাৎ হোসেন খান। স্বাগত বক্তব্য দেন সদারঙ্গের প্রতিষ্ঠাতা এবং সাধারণ সম্পাদক পণ্ডিত স্বর্ণময় চক্রবর্ত্তী।
অর্ধশতাধিক সদারঙ্গের শিক্ষার্থীর কণ্ঠে সম্মেলক সংগীতের মাধ্যমে সম্মেলনের দ্বিতীয় পর্ব শুরু হয়। ‘আইয়ে ভবনমে প্রীতম প্যারী, সুন্দর লগন আঈ হামারী’ বন্দেশের সাথে অপূর্ব আলাপ বিস্তার ও তান সরগম সুমুধুর ললিত সত্যিই মোহিত করার মতো। এটির স্বার্থক রচনা করেন স্বর্ণময় চক্রবর্ত্তী। তবলায় সহযোগিতা করেন চট্টগ্রাম দুই তবলা শিল্পী রাজীব চক্রবর্ত্তী ও টিটু ঘোষ। বেহালায় ছিলেন ফেনীর শ্যামল দাশ।
মোহান বীণায় রাগ যোগকোষ পরিবেশন করেন চট্টগ্রামের শিল্পী মিটন বিশ্বাস। তাকে তবলায় সহযোগিতা করেন চট্টগ্রামের তবলা শিল্পী সুরজিৎ সেন। এরপরে শিল্পী সিলেটের সুপ্রিয়া দাশ। ঢাকার শিল্পী উস্তাদ শাহাদাৎ হোসেন খানের সরোদ পরিবেশনার মধ্য দিয়ে প্রথম দিনের অনুষ্ঠান শেষ হয়।
শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) দ্বিতীয় দিনের প্রথম অধিবেশনে ছিলো শিশু-কিশোর পর্ব। এতে অংশ নিয়েছে সুহা চক্রবর্ত্তী (কণ্ঠ), আদ্রিতা চক্রবর্ত্তী (কণ্ঠ), আনন্দী সেন (কণ্ঠ), অপরাজিতা চৌধুরী (বেহালা) ও অনয় চক্রবর্ত্তী (তবলা লহড়া)।
সান্ধ্য অধিবেশনে অংশ নেবেন চট্টগ্রামের শিল্পী সুরবন্ধু অশোক চৌধুরী (কণ্ঠ), প্রমীত বড়ুয়া (কণ্ঠ), ঢাকার শিল্পী ড. রেজোয়ান আলী (কণ্ঠ) ও পশ্চিমবঙ্গের শিল্পী তাপস বালা (সন্তুর), চট্টগ্রামের শিল্পী রাজীব চক্রবর্ত্তী (তবলা), দিনাজপুরের শিল্পী ইফতেখার আলম প্রধান (তবলা), পশ্চিমবঙ্গের শিল্পী সত্যজিৎ কর্মকার (তবলা) ও রাজীব দাশ (হারমোনিয়াম)।
শনিবার (২৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টায় থিয়েটার ইনস্টিটিউট চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত হবে ষষ্ঠ ও সমাপনী অধিবেশন।
বাংলাদেশ সময়: ১২৩০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৪, ২০২০
এআর/এসি/টিসি