ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বিমান ছিনতাই চেষ্টা করেছিলেন পলাশ একাই

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২৫৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৪, ২০২০
বিমান ছিনতাই চেষ্টা করেছিলেন পলাশ একাই ফাইল ছবি

চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামে বিমান ছিনতাইয়ের চেষ্টার ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় প্রায় এক বছর তদন্ত শেষে চূড়ান্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা দিয়েছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট।

বিমান ছিনতাইয়ের চেষ্টার ঘটনায় নিহত আসামি মো. সাকিব হোসাইন প্রকাশ পলাশ আহমেদ প্রকাশ মাহি বি (২৮) ছাড়া অন্য কারও সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি বলে উল্লেখ করা হয়েছে প্রতিবেদনে।

বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) বিকেলে আদালতের প্রসিকিউশন শাখায় প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়।

বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের পরিদর্শক রাজেস বড়ুয়া।

তিনি বাংলানিউজকে বলেন, বিমান ছিনতাইয়ের চেষ্টার ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলা তদন্তে আসামি পলাশ আহমেদ ছাড়া অন্য কারও জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

আসামি পলাশ আহমেদ বিমান ছিনতাইয়ের চেষ্টার পর কমান্ডো অভিযানে মারা যান। তাই মামলাটি নিষ্পত্তির জন্য আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে।

গত বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি বিকেলে বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইট ময়ূরপঙ্খীর ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম হয়ে দুবাই যাওয়ার কথা ছিল। বিকেল ৫টা ১৭ মিনিটে ঢাকা থেকে উড্ডয়নের ১৭ মিনিট পর পলাশ আহমেদ নামে এক যাত্রী বিমানের ভেতর পিস্তল বের করে ফ্লাইটটি ছিনতাইয়ের চেষ্টা করেন।

বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে বিমানটি চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করে। পর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে কমান্ডো অভিযানে নিহত হন পলাশ আহমেদ।

পরে এ ঘটনায় পতেঙ্গা থানায় মামলা দায়ের করেন বেসরকারি বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কর্মরত প্রযুক্তি সহকারী দেবব্রত সরকার।

মামলায় সন্ত্রাসবিরোধী আইন, ২০১২-এর ৬ ধারা এবং বিমান নিরাপত্তাবিরোধী অপরাধ দমন আইন, ১৯৯৭-এর ১১ (২) ও ১৩ (২) ধারায় পলাশের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। মামলায় নিহত পলাশ আহমেদ ছাড়াও অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করা হয়।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নিহত পলাশ আহমেদের সাবেক স্ত্রী শামসুন নাহার শিমলা ছাড়াও ২২ জন বিমানযাত্রী, ৭ জন বিমানের পাইলট ও ক্রু, ১৯ জন আসামি পলাশ আহমদের আত্মীয়-বন্ধু, অভিযানে অংশগ্রহণকারী আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ২৬ জনসহ মোট ৭৯ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন।

বাংলাদেশ সময়: ২১৪০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৩, ২০২০
এসকে/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।