ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

স্থানীয় সরকার আইন সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টিতে র‌্যালি

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২২৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৩, ২০২০
স্থানীয় সরকার আইন সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টিতে র‌্যালি চসিকের র‌্যালিতে নেতৃত্ব দেন মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন

চট্টগ্রাম: স্থানীয় সরকার আইন-২০০৯ সম্পর্কে নাগরিক জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করেছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক)।

বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের নেতৃত্বে ব্যানার, ফেস্টুন, প্লেকার্ড, মাইক, টি-শার্ট ও ক্যাপে সজ্জিত নানা বয়সী মানুষ এ র‌্যালিতে অংশ নেন।

আন্দরকিল্লা থেকে শুরু হয়ে র‌্যালিটি নগরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে পুনরায় চসিক পুরাতন ভবনে এসে শেষ হয়।

সিটি গভর্নেন্স প্রজেক্টের (সিজিপি) সার্বিক সহযোগিতায় এ বর্ণাঢ্য র‌্যালি অনুষ্ঠিত হয়। এতে চসিক কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমন, সচিব মো. আবু সাহেদ চৌধুরী, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আফিয়া আক্তার, স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট (যুগ্ম জেলা জজ) জাহানারা ফেরদৌস, প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ একেএম রেজাউল করিম, সিজিপি’র মো. আমিনুর হোসেন চুন্নু, মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, মানিক লাল দেবনাথ, রবি মং মারমা, মো. আকিব রেজা আবির ও মো. ওবায়দুর রহমানসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের  শিক্ষক শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।

স্থানীয় সরকার আইন ২০০৯ অনুযায়ী বৈধ ও আইনানুগ কার্যক্রমের মধ্যে ট্রাফিক আইন মেনে চলা, সময়মতো পৌরকর পরিশোধ, বাল্যবিয়ে বন্ধ, জঙ্গি দমনে সহায়তা দান, সময়মতো পানির বিল পরিশোধ, ব্যবসা পরিচালনার জন্য ট্রেড লাইসেন্স প্রদান, বিল্ডিং কোড মেনে বাসা-বাড়ি নির্মাণ, যথাযথ স্থানে ময়লা আবর্জনা ফেলা, জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদকে না বলা, খোলা জায়গায় মলমূত্র ত্যাগ না করা, রাস্তার ওপর কোনো ধরনের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি না করা, বৃক্ষরোপণে উদ্বুদ্ধ করা, সন্তানকে সময়মতো টিকা দেওয়া ও বিদ্যালয়ে পাঠানোর বিষয় রয়েছে।

মেয়র বলেন, এ শহর আমার, আপনার। এ শহরকে নিজের সন্তানের মতো লালন পালন করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। আমাদের মধ্যে মতাদর্শের পার্থক্য আছে। আছে বিভাজনও। তারপরও এ নগরে আমরা বসবাস করি। তাই শহরে সৌন্দর্য রক্ষায় আমাদের দায়িত্ব রয়েছে। এ দায়িত্ববোধের কারণে সব ধরনের ভেদাভেদের ঊর্ধ্বে উঠে আমাদের এ নগরকে গড়ে তুলতে হবে।

তিনি বলেন, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নগরবাসীর একমাত্র সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান। এ প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য নিয়মিত পৌরকর প্রদান, যথাযথ স্থানে ময়লা আর্বজনা ফেলা, ব্যবসা পরিচালনার আগে ট্রেড লাইসেন্স গ্রহণসহ স্থানীয় সরকার আইন ২০০৯ এর বিধি-বিধান মেনে চলার ক্ষেত্রে নগরবাসীর সহযোগিতা চাই।  

শেরশাহ কলোনি ডা. মাজহারুল হক হাইস্কুল

দুপুরে শেরশাহ কলোনি ডা. মাজহারুল হক হাই স্কুলের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিরতন অনুষ্ঠান হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন স্কুল পরিচালনা পরিষদের সভাপতি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন।

বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মাওলানা মনজুর আলমের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন সাবেক কমিশনার ফরিদ আহমদ চৌধুরী, মো. সালাহ উদ্দিন, রফিকুল ইসলাম, এসএম সফিকুল ইসলাম, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মো. খোরশেদ আলম, মো. বাহার উদ্দিন।

এ সময় মেয়র শিক্ষার্থীদের পাঠদানে মনোযোগী হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, বর্তমান তথ্যপ্রযুক্তির যুগে পুঁথিগত বিদ্যার বাইরেও জ্ঞানচর্চা করতে হবে। তবেই উন্নত বিশ্বের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকা সম্ভব।

তিনি বলেন, বর্তমান শিক্ষাবান্ধব সরকারের ধারাবাহিকতার কারণে আমাদের দেশে শিক্ষার হার দিন দিন বাড়ছে। উন্নত বিশ্বে বিভিন্ন পর্যায়ে আমাদের শিক্ষার্থীরা গুরুত্বপূর্ণ পদ দখল করে নিয়েছে। শিক্ষাহীন জীবনের অন্ধত্বের সমতুল্য। তাই সব প্রতিকূলতার মধ্যেও শিক্ষাকে প্রাধান্য দিয়ে অগ্রসর হতে হবে।  

মেয়র শিক্ষকদের পাঠদানের আগে কিছু সময় নৈতিক মূল্যবোধের ওপর আলোকপাত করার আহ্বান জানান।

এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, প্রাথমিক শিক্ষাজীবনের আহরিত জ্ঞান আগামী পথচলার পাথেয়।

মেয়র শিগগির বিদ্যালয়টি করপোরেশনের অধিভুক্ত করার ঘোষণা দেন।

সঞ্চালনায় ছিলেন সহকারী শিক্ষক মোহাম্মদ মহিউদ্দিন।

বাংলাদেশ সময়:  ২০৫৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৩, ২০২০
এআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।