ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

‘তরিকত চর্চা ভালো মানুষ তৈরি করে’

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২৪২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৩, ২০২০
‘তরিকত চর্চা ভালো মানুষ তৈরি করে’ বক্তব্য দেন সৈয়দ ইরফানুল হক মাইজভাণ্ডারী

চট্টগ্রাম: ‘তরিকত চর্চার মাধ্যমে মানুষের আত্মশুদ্ধি হয়। তরিকতপন্থী একজন ভালো মানুষে পরিণত হন। যারা তরিকত চর্চা করেন তারা মূলত এক ধরণের আত্ম সমালোচনা-ই করেন। এর মাধ্যমে নিজেদের ভুলগুলো বুঝতে পারেন।’

বুধবার (২২ জানুয়ারি) বিকেলে গাউছুল আজম মাইজভাণ্ডারীর জীবন ও কর্ম নিয়ে তাছাউফ ভিত্তিক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন গাউছিয়া আহমদিয়া মঞ্জিলের নায়েব সাজ্জাদানশীন সৈয়দ ইরফানুল হক মাইজভাণ্ডারী (ম.)।

গাউছুল আজম হযরত মওলানা শাহছুফী সৈয়দ আহমদ উল্লাহ মাইজভাণ্ডারী (ক.) এর ১১৪ তম বার্ষিক ওরশ উপলক্ষে আঞ্জুমানে মোত্তাবেয়ীনে গাউছে মাইজভাণ্ডারী শাহ এমদাদিয়া কেন্দ্রীয় কার্যকরী সংসদের উদ্যোগে এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

সৈয়দ ইরফানুল হক মাইজভাণ্ডারী বলেন, সৎ সঙ্গ সবসময় ভালো কিছু দেয়। অসৎ সঙ্গ মানুষের চূড়ান্ত ক্ষতি করে থাকে।

কিন্তু অসৎ সঙ্গের প্রভাব আমরা বুঝতে পারি না। তরিকত চর্চা আমাদের অন্তর্চক্ষু খুলে দেয়। ভালো-খারাপ যাচাই করার সুযোগ তৈরি করে দেয়।

আলোচনা সভায় আঞ্জুমানে মোত্তাবেয়ীনে গাউছে মাইজভাণ্ডারী শাহ এমদাদিয়া কেন্দ্রীয় কার্যকরী সংসদ, জেলা কার্যকরী সংসদ, দেশের বিভিন্ন এলাকা ও অন্য দেশ থেকে আগত ভক্ত-মুরিদানরা অংশ নেন।

গাউছুল আজম মাইজভাণ্ডারী হযরত মওলানা শাহছুফী সৈয়দ আহমদ উল্লাহ মাইজভাণ্ডারী (ক.) এর ওরশ উপলক্ষে গাউছিয়া আহমদিয়া মঞ্জিলের সাজ্জাদানশীন হযরত মওলানা শাহছুফী সৈয়দ এমদাদুল হক মাইজভাণ্ডারী (ম.) আয়োজন ও ব্যবস্থাপনায় ১০ দিনব্যাপী কর্মসূচী গ্রহণ করা হয়।

ওরশের প্রধান দিবস শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) দিবাগত রাত ১২টা ১ মিনিটে গাউছিয়া আহমদিয়া মঞ্জিল শাহী ময়দানে ওরশ শরীফের আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করবেন হযরত মওলানা শাহছুফি সৈয়দ এমদাদুল হক মাইজভাণ্ডারী (ম.)।

গাউছিয়া আহমদিয়া মঞ্জিলের নায়েব সাজ্জাদানশীন সৈয়দ ইরফানুল হক মাইজভাণ্ডারী (ম.)’র সার্বিক তত্ত্বাবধানে মাইজভাণ্ডার ওরশ শরীফ সুপারভিশন কমিটির বিপুলসংখ্যক স্বেচ্ছাসেবক ও মাইজভাণ্ডারী স্পেশাল ফোর্স (এমএসএফ) দায়িত্ব পালন করছেন।

মাইজভাণ্ডার ওরশ শরীফ সুপারভিশন কমিটির উদ্যোগে ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরা ও ভিডিও চিত্র ধারনের মাধ্যমে সার্বক্ষণিক নজরদারি করা হচ্ছে। বিভিন্ন স্থানে প্রয়োজনীয় গাড়ি পার্কিংসহ মেহমানদের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে থাকা, সময়মতো জামাত সহকারে নামাজ আদায়, বিশুদ্ধ পানীয় জল, স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটেশন, আলোকসজ্জা, এবং প্রয়োজনীয় ওষুধসহ বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ২১৩৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২২, ২০২০
এসকে/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।