রোববার (১৯ জানুয়ারি) ভারপ্রাপ্ত বিভাগীয় স্পেশাল জজ মো. ইসমাঈল হোসেনের আদালতে এ যুক্তিতর্ক হয়।
যুক্তিতর্কের সময় আদালতে উপস্থিত চার আসামির জামিন বাতিল করেছেন আদালত।
কারাগারে পাঠানো চার আসামি হলো- মোস্তাফিজুর রহমান, প্রদীপ বড়ুয়া, শাহ মো. আবদুল্লাহ ও মমতাজ উদ্দিন।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্পেশাল জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, লালদীঘি ময়দানে আওয়ামী লীগের সমাবেশে গুলি চালিয়ে ২৪ জনকে হত্যার ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তিতর্ক শেষ হয়েছে। সোমবার আসামি পক্ষের যুক্তিতর্ক শুনবেন আদালত।
তিনি বলেন, যুক্তিতর্কের সময় আদালতে উপস্থিত চার আসামির জামিন বাতিল করেছেন আদালত। তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
অ্যাডভোকেট মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী বলেন, তৎকালীন পুলিশ কমিশনার মির্জা রকিবুল হুদার নির্দেশে জে সি মণ্ডল তার নিয়ন্ত্রিত পুলিশ সদস্যদের মাধ্যমে পূর্বপরিকল্পিতভাবে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটিয়েছে বলে আদালতকে জানিয়েছি আমরা।
এর আগে ১৪ জানুয়ারি চাঞ্চল্যকর এ মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়। এ মামলায় সাবেক মন্ত্রী, সাংবাদিক, শিক্ষকসহ মোট ৫৩ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন।
১৯৮৮ সালের ২৪ জানুয়ারি বিকালে লালদীঘি ময়দানে সমাবেশের আয়োজন করে আওয়ামী লীগ। সমাবেশে যাওয়ার পথে বাংলাদেশ ব্যাংক ভবনের সামনে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার গাড়ি বহর লক্ষ্য করে গুলি করে পুলিশ। শেখ হাসিনাকে রক্ষা করতে গিয়ে পুলিশের গুলিতে মারা যান ২৪ জন নেতাকর্মী।
এ ঘটনায় ১৯৯২ সালের ৫ মার্চ আইনজীবী মো. শহীদুল হুদা বাদি হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর মামলাটি পুনরুজ্জীবীত হয়। আদালতের আদেশে সিআইডি মামলাটি তদন্ত করে ১৯৯৭ সালের ১২ জানুয়ারি প্রথম এবং অধিকতর তদন্ত শেষে ১৯৯৮ সালের ৩ নভেম্বর দ্বিতীয় দফায় অভিযোগপত্র দেয়া হয়। অভিযোগপত্রে তৎকালীন সিএমপি কমিশনার মীর্জা রকিবুল হুদাসহ আট পুলিশ সদস্যকে আসামি করা হয়।
মামলার আসামিরা হলেন- তৎকালীন সিএমপি কমিশনার মীর্জা রকিবুল হুদা, কোতোয়ালী জোনের পেট্রোল ইন্সপেক্টর (পিআই) জে সি মণ্ডল, কনস্টেবল আব্দুস সালাম, মোস্তাফিজুর রহমান, প্রদীপ বড়ুয়া, বশির উদ্দিন, শাহ মো. আবদুল্লাহ ও মমতাজ উদ্দিন।
২০০০ সালের ৯ মে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু করেন আদালত।
১৯৮৮ সালের ২৪ জানুয়ারি লালদীঘির ঘটনায় নিহতরা হলেন- মো. হাসান মুরাদ, মহিউদ্দিন শামীম, স্বপন কুমার বিশ্বাস, এথলেবার্ট গোমেজ কিশোর, স্বপন চৌধুরী, অজিত সরকার, রমেশ বৈদ্য, বদরুল আলম, ডি কে চৌধুরী, সাজ্জাদ হোসেন, আব্দুল মান্নান, সবুজ হোসেন, কামাল হোসেন, বি কে দাশ, পঙ্কজ বৈদ্য, বাহার উদ্দিন, চান্দ মিয়া, সমর দত্ত, হাসেম মিয়া, মো. কাসেম, পলাশ দত্ত, আব্দুল কুদ্দুস, গোবিন্দ দাশ ও শাহাদাত।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৯, ২০২০
এসকে/টিসি
